বালেশ্বর: ট্রেন দুর্ঘটনায় জখমদের দেখতে বালেশ্বরে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে পরিদর্শনের পরে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা। 


গতকাল একটি অডিও ক্লিপ ট্যুইট করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেখানে দুই ব্যক্তির মধ্যে দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত কথোপকথন ছিল। সেই অডিও ক্লিপে নিজেদের রেল আধিকারিক বলে জানিয়েছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। ট্যুইটে কুণাল ঘোষ দাবি করলেন, 'সিগন্যাল ছিল মেনলাইনের, পয়েন্ট ছিল লুপলাইনে।' অডিও ক্লিপে যে ২জনের কথোপকথন শোনা যাচ্ছে, তাঁদের রেলের দুই কর্তার বলে দাবি করেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ট্যুইটারে লেখেন, 'অডিওর সত্যতা যাচাই হয়নি।' 'তবে, বড়সড় গোলমাল আছে, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ' বলেও দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ।


তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, 'তৃণমূলের মুখপাত্র কীভাবে পেলেন অডিও ক্লিপ, সেটাও তদন্তের আওতায় আনা উচিত।' তিনি আরও বলেন, 'রেলের দুই আধিকারিকের কথোপকথন তাঁরা কেউ রেকর্ড করেননি। ফোন ট্যাপ করে সেই কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে, এটাও তদন্তের আওতায় রাখা উচিত।'


অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে শুভেন্দুর প্রশ্ন, 'তদন্তের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করে জানলেন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না?' তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর তোপ, 'দুর্ঘটনার পর রাজনীতি বা দোষারোপ প্রথমেই করতে নেই। তদন্তের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে জানলেন অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না? এটা আপনার কাজ নয়, তদন্তকারীদের ওপর ছেড়ে দিন। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড প্রধানমন্ত্রী-রেলমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। রেলমন্ত্রী নিজে ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।'


বাংলার স্বাস্থ্য় পরিষেবা নিয়েও তোপ:
এদিন বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর তোপ, 'বাংলায় শিকেয় স্বাস্থ্য পরিষেবা। তা সত্ত্বেও আহতদের জোর করে ওড়িশা থেকে নিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কটক, ভুবনেশ্বরের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক ভাল, দয়া করে জোর করে বাংলায় নিয়ে যাবেন না। বাংলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা ভাল নেই বলেই তো ভাইপো চিকিৎসার জন্য আমেরিকায় যান।'


বাংলার কতজন:
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রেল দুর্ঘটনার পরপরই আমরা অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসক পাঠিয়েছিলাম ঘটনাস্থলে। বাংলার ৬২ জনকে মৃত হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে। ১৮২ জনের মৃতদেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার পর বাড়ি ফেরানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।'


আরও পড়ুন- অফিসের কাজের চাপে একঘেয়ে জীবন, কীভাবে থাকবেন হাসিখুশি-প্রাণোচ্ছ্বল? রইল সহজ কিছু টিপস