দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  নজরে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র। সদ্য অভিষেকের বিরুদ্ধে এই কেন্দ্রেই দাঁড়ানোর ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন সদ্য নৌশাদ সিদ্দিকী। যা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। লোকসভা ভোটের আগে, শিকড় দৃঢ় করতেই কি নয়া রণনীতি ? গুঞ্জন রাজনৈতিক মহলে। মূলত ডায়মন্ড হারবারের ৭০ হাজার মহিলাকে বার্ধক্য ভাতা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর এরপরেই ট্যুইটে নাম না করেই তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 


 শুভেন্দু বলেছেন, 'ভাইপোর ডায়মন্ড হারবার মডেল, পিসির দুয়ারের সররকারের প্রতারণা ফাঁস করল। বার্ধক্য ভাতার জন্য মানুষকে দুয়ারে সরকারের লাইনে দাঁড় করানো হলেও তাঁরা কিছু পাননি। কারণ পিসি বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছে। দুয়ারে সরকারের বেলুন ফাটিয়ে দিয়েছেন ভাইপো। পিসির ঘোষিত প্রকল্পে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজে বার্ধক্য ভাতা পাইয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই কয়লা, গরু, রেশন, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত জোরদার করেছে। দুর্নীতির বিপুল টাকা থেকে অন্তত কিছুটা ৭০ হাজার মানুষের মধ্যে দিতে পারলে ভোটব্যাঙ্কে প্রভাবিত হবে। যদিও ৭০ হাজার মানুষকে দিতে হবে মাত্র সাড়ে ৩ কোটি টাকা, যা কার্যত কিছুই না', সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।


প্রসঙ্গত, ২০২৪-এর মহাযুদ্ধের প্রাক্কালে, প্রায় ৫৩ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট অধ্যুষিত ডায়মন্ড হারবারে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বার ইচ্ছাপ্রকাশ করে, রাজনৈতিক আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। আর এহেনও আবহে, ফলতার সভা থেকে গতকাল, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। নাম না করে নিশানা করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ককেও। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিঁধেছেন মোদি সরকারকে।


আরও পড়ুন, জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারকে ৯ কোটির ঋণ দিয়েছিলেন বাকিবুর ! দাবি ED-র


 অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'আমি আপনাদের বলছি, কেন্দ্র হাজার চেষ্টা করলেও, ডায়মন্ড হারবারের একটা লোককেও ভাতে মারতে পারবে না। আর আপনাদের টাকা আটকে রেখে, আপনাদের শিক্ষা দিতে যদি চায় কেন্দ্র, যতদিন আমি আছি, আমি এটা হতে দেব না। আমি কাজ করে দেখিয়েছি। আগামী দিনেও দেখাব। যদি ৭০ হাজার বয়োঃজ্যেষ্ঠ মহিলার বার্ধক্য ভাতার ব্যবস্থা আমি করতে পারি, তাহলে যারা ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিত, তাদের ব্যবস্থাও আমি খুব শিগগিরই করব, আপনাদের কথা দিয়ে যাচ্ছি, নিশ্চিন্তে থাকুন', তাৎপর্যপূর্ণভাবে বার্ধক্য ভাতার মতো সরকারি প্রকল্পের প্রসঙ্গ তুলে ধরে, ডায়মন্ড হারবারবাসীর প্রতি নিজের কমিটমেন্ট মনে করিয়ে দিতে চেয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।