বিজেন্দ্র সিংহ, সমীরণ পাল ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়: সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের আর্জি খারিজ ইস্যুতে কটাক্ষ শুভেন্দুর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া আর্জি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট (SC On Abhishek)। উল্লেখ্য, গত শুক্রবারেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তি বেড়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফের আরও একবার ধাক্কার মুখে তিনি। গত ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। আর সেই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। নাম না করে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে।


৮ ডিসেম্বরের পরে ১৫ ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, গত শুক্রবারেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অস্বস্তি বেড়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফের আরও একবার ধাক্কার মুখে তিনি। গত ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। 


নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ সাড়া পেলেন না সুপ্রিম কোর্টে!বরং কিছু বলার থাকলে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার কথা বলল সর্বোচ্চ আদালত। নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এর আগে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়,তাঁর মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের বাকি ডিরেক্টরদের সম্পত্তির নথি জমা দিতে বলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 


কিন্তু, সিঙ্গল বেঞ্চের সিংহভাগ নির্দেশই বহাল রাখে বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু, ৮ ডিসেম্বর, সুপ্রিম কোর্ট,কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এবং ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করেনি। বরং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনই খারিজ করে দেয়। ৭ দিনের মাথায়,ফের সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া আবেদন। 


আরও পড়ুন, ললিত ঝা-কে 'যুব তৃণমূলের পদাধিকারী' বলে দাবি শুভেন্দুর


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'ভাইপোর কী হবে, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে। বলছে, মামার বাড়ির আদদার, অমৃতা সিন্হার বেঞ্চে তাঁর মামলা করা যাবে না। তিনি ভেবেছেন যে, সুপ্রিম কোর্টটা পিসি চালায়।'তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন,' এটাকে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। মামলা শুনতে বলেছে। আইন আইনের পথে চলবে। সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্যের পরে, এই মামলার জল কোন দিকে গড়ায়, সেটাই দেখার।