কলকাতা: সদ্য জাতীয় দলের (AITC) তকমা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। অরুণাচল প্রদেশ ও মণিপুরে রাজ্য দলের মর্যাদা হারায় তৃণমূল কংগ্রেস। যার দরুন জাতীয় দলের মর্যাদা লাভের মাপকাঠিতে ঠাঁই হারায় বাংলার শাসক দলের (TMC)। এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট (Loksabha Election)। এমন এক পরিস্থিতিতে একের পর এক সভায় তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ  করে চলেছে বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব (BJP)। যদিও এদিন নবান্নের বৈঠকে বড় বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি স্পষ্ট বলেন,  'আমাদের দলের নাম একই থাকবে।'


প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বাংলা, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মণিপুরে রাজ্যদলের স্বীকৃতি পায় তৃণমূল। তারপরই তৃণমূলকে জাতীয় দলের মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। ৭ বছরের মাথায় এই তকমা হারায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এদিন এই প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, 'নির্বাচন কমিশনকেও ওরা নিয়ন্ত্রণ করবে ?' এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন,' আমাদের দলের নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের দলের নাম একই থাকবে।'


মূলত ৪টি রাজ্যে, এতদিন রাজ্যদলের মর্যাদা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। এখন বাংলা, ত্রিপুরা, মেঘালয়ে রাজ্যদলের তকমা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তবে জাতীয় দলের তকমা যাওয়ার তালিকায় শুধু তৃণমূল নয়, পাশাপাশি জাতীয় দলের মর্যাদা হারায় সিপিআই, এনসিপি-ও। দিল্লির পরে পঞ্জাবে সরকার গড়ে তালিকায় আসে আপ। ৪টি রাজ্যে, এখন রাজ্যদলের তকমা পেয়ে জাতীয় দলের তকমা পায় কেজরিওয়ালের দল। 


যদিও এদিন শুধু জাতীয় দলের নামের ইস্যুতে গত কয়েকদিনের শাহ-শুভেন্দুর দিক থেকে ধেয়ে আসা আক্রমণেরওর পাল্টা জবাব দিয়েছেন তিনি। মূলত ইস্যুটি শাহ-কে ফোন করা নিয়ে। এনিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন তীব্র আক্রমণ শানিয়ে, বলেন, 'মানুষের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে ভুল বার্তা দিচ্ছে বিজেপি। পরিকল্পনামাফিক ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপির ভুঁইফোড় নেতা সর্বসমক্ষে বলেছেন, জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়ার পর ওদের বড় নেতা শাহজিকে চারবার ফোন করেছি', নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে এদিন কড়া আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন,  'দিনে ১৫০ আক্রান্ত', কোভিড নিয়ে কী 'সতর্কতামূলক বার্তা' মমতার ?


 অপরদিকে, দোরগড়ায় লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে এদিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, 'লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসন পাবে না। ভোট লুঠ করার অনেক রকম পরিকল্পনা আছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়েও সন্দেহের ব্যাপার আছে। তৃণমূল ২৫ এপ্রিল থেকে সংযোগ যাত্রা করবে। মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শুনবে।'