কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা বিরোধীদের চিঠিতে উল্লেখ ছিল তাঁরও। উঠতে বসতে যেখানে বিরোধীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, সেখানে নারদকাণ্ডে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী- (Suvendu Adhikari)সহ বিজেপি-র অভিযুক্তরা কী ভাবে ইডি-সিবিআই-এর হাত থেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন, প্রশ্ন উঠেছিল। মোদিকে লেখা তৃণমূল-সহ নয় বিরোধী দলের সেই চিঠি নিয়ে এ বার সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করলেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Saradha Scam)।


সারদাকাণ্ডের তদন্ত ত্বরান্বিত করতে আর্জি শুভেন্দুর


বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওই চিঠি নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু। জানান, চিঠিতে তাঁর নাম উল্লেখ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে তিনিও সারদাকাণ্ডের তদন্ত ত্বরান্বিত করতে আর্জি জানিয়েছেন। শুভেন্দুর দাবি, সারদা চিটফান্ড থেকে পঞ্জি সংগ্রহে মমতা এবং তৃণমূলের ভূমিকা দ্রুত খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে।


এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “যে দলগুলি চিঠি লিখেছে, তাতে বাংলার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত, কলঙ্কিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রয়েছেন। চিঠিতে ১৮ জন বিশিষ্ট রাজনীতিকের সঙ্গে আমার নামও উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সারদা চিটফান্ড থেকে পঞ্জি কালেকশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর দলের সংযুক্তির কথা চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেছি, সিবিআই তদন্তকে ত্বরান্বিত করতে। বাংলার ৩ কোটি মানুষের টাকা গিয়েছে মমতার জন্য।”


আরও পড়ুন: Bonny Sengupta: কুন্তলের হয়ে অনেক স্টেজ শো করেছি, পারিশ্রমিক হিসেবে গাড়ির নিয়েছিলাম: বনি


অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেজস্বী যাদব, উদ্ধব ঠাকরের পাশাপাশি মমতার তরফে ওই চিঠি লেখা হয় প্রধানমন্ত্রীকে। সেই নিয়ে শুভেন্দুর বক্তব্য, “যে দলগুলি চিঠি লিখেছে, তাদের তিনটি অ্যাজেন্ডা রয়েছে। প্রথমটি হল, পরিবারতন্ত্র, দ্বিতীয় ব্যবসার রাজনীতি, তৃতীয় তোষণের রাজনীতি। এদের তৃণমূল স্তর থেকে মগডাল পর্যন্ত, পঞ্চায়েত স্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত, শুধুই দুর্নীতি। ”


ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে তৃণমূল ৫৩৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, দাবি শুভেন্দুর


নারদকাণ্ডে নাম থাকা সত্ত্বেও, বিজেপি-তে রয়েছেন বলেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলা দাবি তৃণমূলের। সেই নিয়ে শুভেন্দুর যুক্তি, “বিজেপি এবং কেন্দ্র তদন্তে ন্যূনতম হস্তক্ষেপ করে না। যাঁরা চিঠি লিখেছেন, তাঁদের একাধিক নেতা-মন্ত্রী হয় জেলে, নয় জেল খেটেছেন, নয়ত চার্জশিটে নাম রয়েছে। তাঁরা আতঙ্কিত, ভীত, সন্ত্রস্ত। কখন নিজে যাবেন অথবা নাতি-ভাইপো যাবেন, ভেবে ঘুম হচ্ছে না রাতে।“ ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে তৃণমূল ৫৩৮ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে বলেও এ দিন দাবি করেন শুভেন্দু। কোথা থেকে ওই টাকা এল, কে দিল, তৃণমূলকে তথ্য জানাতে হবে বলে দাবি শুভেন্দুর।