কলকাতা: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তলবে হাজিরা দিতে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta)। এ দিন সিজিও কমপ্লেক্সে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বনি বলেন, 'জিরাটে আমি একটি শো করতে গিয়েছিলাম। তখনই আলাপ হয় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে। উনি প্রথমে সিনেমা ও মিউজিক ভিডিও করা নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ওঁর সঙ্গে আমার কোনও সিনেমার চুক্তি হয়নি। পরিচিতি সূত্রেই কুন্তলের হয়ে অনেক স্টেজ শো করেছিলাম আমি। ওঁর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক হয়ে গিয়েছিল। জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও ওঁর বাড়ি গিয়েছি।'
বনি আরও বলেন, '২০১৭ সালে আমি একটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছিলাম। সেসময়ে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন কুন্তল। প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো। ওই একটাই ব্যাঙ্ক ট্র্যানজাকশন রয়েছে ওঁর সঙ্গে আমার। সেই কারণেই আজকের তলব। সোমা চক্রবর্তীর পার্লার উদ্বোধনেও আমায় ডাকা হয়েছিল। অন্যান্য তারকাদের মতোই গিয়ে সেটা উদ্বোধন করেছিলাম খালি। ২০ থেকে ২৫টা ইভেন্ট করেছি কুন্তল ঘোষের হয়ে। সেটার পারিশ্রমিক হিসেবেই গাড়ির কিছুটা টাকা নিয়েছিলাম। তার সমস্ত তথ্য, কাগজ আমার কাছে রয়েছে। আমি ইডিকে সমস্ত কিছুই দিয়েছি। কোনও বেআইনি কাজ আমার নেই, আমি ওই ধরনের ছেলেই না।'
সবশেষে বনির বক্তব্য, 'যেমন অন্যান্য তারকারা বিভিন্ন উদ্বোধনে যান, ইভেন্ট করেন, ঠিক সেভাবেই কুন্তল ঘোষের হয়ে কাজ করেছিলাম ২০২৭ সালে। তখন বেআইনি কিছু আন্দাজও করতে পারিনি। করতে পারলে জড়াতাম না কখোনোই।' অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের(Kuntal Ghosh) সঙ্গে বনির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য মিলেছে (SSC Case)। সেই তথ্য যাচাইয়ের জন্য অভিনেতা বনি সেনগুপ্তকে কাল সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বনিও বলেছেন, 'তদন্তে সাহায্য করব বলেই যেদিন আমায় ডাকা হয়েছে সেইদিনই এসেছি। যা যা নথি, তথ্য চাওয়া হয়েছে সমস্ত দিয়েছি, দেবও। আমি জানি আমি সত্যি বলছি। আমার ভয়ের কোনও কারণই নেই।'
শুধু বনিই নন, কুন্তলের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে আরও একাধিক ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডি সূত্রে, যাঁদের কাছে টাকা পৌঁছে গিয়েছিল। সম্প্রতি এক বিউটা পার্লারের মালিকের নামও উঠে আসে। তাই বনির নাম পাওয়ার পর, অভিনেতাকে তলব করা হয়েছে।