পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানে (Burdwan) কৃষকদের নিয়ে মিছিল শুভেন্দুর। মূলত কৃষকদের  ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দেওয়ার দাবির ইস্যুতে এবং সরকারের তরফে কৃষকদের বঞ্চনার অভিযোগে এদিন বর্ধমানে  কৃষকদের নিয়ে মিছিল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) । একদিকে, ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া এবং ক্রমাগত কৃষক আত্মহত্যার ইস্যুকে ঢাল করে রাজ্যের শাসকদলের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে বঙ্গবিজেপি (State BJP)।


এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'আপনারা জানেন, এই রাজ্যে চার জন আলুচাষী, আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। যার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলি জেলা আছে।এই জেলাতে ধান ও আলুর উপরে কৃষকরা নির্ভর করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার, কালোবাজারিতে আপনাদের সার কিনতে বাধ্য করেছে। আর যে বিধা প্রতি জমিতে ৩৪ হাজার টাকা করে আলুচাষে খরচ করেছেন, মাত্র ২৭ হাজার টাকায় আপনাকে বিঘা প্রতি ৭ হাজার টাকা ক্ষতি করে আপনাকে বিক্রি করতে হয়েছে।আমরা এর প্রতিবাদ বিধানসভার ভিতরে করেছি।'


প্রসঙ্গত, বছর গড়ালেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে গত মাসে দিল্লির রাস্তা ফের সরগরম হয়েছিল কৃষক বিক্ষোভে। ফসলের সঠিক সহায়ক মূল্য বা এমএসপি-র দাবিতে, দিল্লিতে রামলীলা ময়দানে জমায়েত করেছিল কৃষক সংগঠন। সংযুক্ত কিসান মোর্চার পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সকাল থেকেই দিল্লিতে জড়ো হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে এসেছিলেন তাঁরা। দিল্লির রামলীলা ময়দানে একাধিক দাবিতে সভাও করেছেন তাঁরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে এসে রামলীলা ময়দানে জড়ো হয়েছে কৃষকরা। সেখানেই আয়োজিত হয়েছিল কিসান মহাপঞ্চায়েত (kisan mahapanchayat)।


কিসান মহাপঞ্চায়েতের কথা আগেই জানিয়েছিল সংযুক্ত কিসান মোর্চা (Samyukt Kisan Morcha) বা SKM। কৃষি আইন (Farm Laws) ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে এই সংগঠনের নেতৃত্বেই প্রায় বছরভর আন্দোলন হয়েছিল। আন্দোলনের পরে তুলে নেওয়া হয়েছিল সেই আইন। তারপর গতমাসে ফের পথে নামে কৃষক সংগঠন। সহায়কমূল্য নিয়ে একাধিক দাবি করা হয়েছিল কৃষকদের তরফে। কেন্দ্রের তরফে যে যে পদক্ষেপ করা হয়, তা আদতে কৃষকদের স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ তাদের। সহায়কমূল্যের জন্য আইনি সুরক্ষাকবচও দাবি করেছিল কৃষক সংগঠন।    


আরও পড়ুন,'প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে', কাকে নিয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর ?


শুধুমাত্র ন্যূনতম সহায়কমূল্য (MSP) নয়, কৃষকদের দাবির মধ্যে ছিল পেনসন, ঋণ মকুবের মতো দাবি। এছাড়া কৃষক আন্দোলনে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দান, বিদ্যুৎ বিল মকুবের মতো একাধিক দাবিও তোলা হয়েছিল। কৃষিকাজের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া এবং গ্রামীন এলাকায় বাড়িপ্রতি ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়।