মালদা : শালবনিতে (Shalboni) নবজোয়ার যাত্রায় যোগ দিয়ে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও সুর চড়িয়ে বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মালদার মানিকচকে দাঁড়িয়ে পাল্টা তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে রাজ্যে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রয়োজন বলে ফের একবার আওয়াজ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি নেতার আক্রমণ, 'তৃণমূলকে সরাতে হবে, চোরেদের তাড়াতে হবে। পঞ্চায়েতে চোর ধরো জেল ভরো স্লোগান তুলতে হবে'।
রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government) তীব্র আক্রমণ শানিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার আক্রমণ, 'পাড়ায় পাড়ায় শুধু মদের দোকান, আর লটারির দোকান। আপনাদের কেউ জিতেছেন লটারির কোটি টাকা। কারা জিতেছে ? অনুব্রত মণ্ডল, তাঁর মেয়ে। আরও একাধিক তৃণমূল নেতার আত্মীয়রা। মানুষ লটারি কাটতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। লটারির টিকিট কেটে খালি বাজারের ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছে। আর পাড়ায় পাড়ায় খুলেছে মদের দোকান। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা দিচ্ছে। আর মদের দোকান খুলে বার্তা দিচ্ছে, মা-স্ত্রীদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে এনে মদ খাও।'
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণ, 'এটা একটা সরকারের কাজ, শুধু তোষণের রাজনীতি, বাংলা আজ শেষ। ৬ লক্ষ কোটি ঋণের বোঝা, ২ কোটি বেকার, এটাই এখন বাংলা। বুথকে দুর্ভেদ্য দুর্গ করে তুলতে হবে, মালদার সভায় হুঙ্কার শুভেন্দুর। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বার্তা, 'আগে ছিল ৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, এখন তা বেড়ে ৪৫ লক্ষ। শুধু সংখ্যালঘুদের এনআরসির ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল। কেন্দ্রের কোনও কিছু শুধু তো একটি সম্প্রদায়ের জন্য নয়। কেন্দ্রের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল, সাধারণ মানুষ কেউ পায়নি। ৩০ হাজার টাকা ঘুষ না দিয়ে কেউ কি ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার বাড়ি পেয়েছেন ? গর্ত খুঁড়ে পার্থ-অর্পিতার মতোও টাকা উদ্ধার করবে এজেন্সি' যার পরই চোর আক্রমণ শানিয়ে বিজেপি সরকারের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'কুড়মি-আদিবাসীদের মধ্যে গন্ডগোল লাগাতে চায়' মণিপুর প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ মমতার
শুভেন্দু বলেন, 'তৃণমূল দোকান খুলে চাকরি বিক্রি করেছে, সিপিএম ক্যাডারদের চাকরি দিয়েছে। সিপিএম এখন টেস্টেড এবং রিজেক্টেড, বিজেপিই এখন ভবিষ্যৎ'। ১৫ দিনের সময় দিয়ে গেলাম, হবিবপুরের সভা থেকে হুঙ্কার শুভেন্দুর। 'কয়লা, গরু চোররা আসবে, অনুমতি লাগবে শুধু বিজেপির জন্য'।
আরও পড়ুন: Lifestyle: শুধু বাইরে নয়, ঘরেও দরকার সান স্ক্রিন, মানেন অনেকেই