কলকাতা : আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়কের দল ছাড়ার পরে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্য়া কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯-তে। তৃণমূল দাবি করছে, লাইনে আছেন আরও ১৩ জন। অথচ বিধানসভায় বিজেপির ৭৫ জন বিধায়কই আছেন বলে মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নেপথ্যের হিসেব হবে কী? 


বিজেপির টিকিটে জেতা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের তৃণমূলে যোগদান করেছে সম্প্রতি। এর ফলে বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ৭৭ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৯। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলে যোগদান করেন তিনি। 


আরও পড়ুন :


এক ক্লিকে জেলা জেলার গুরুত্বপূর্ণ খবর


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। ভোটের ফল প্রকাশের পর, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। ফলে, বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৭৫। এরপর একে একে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়। রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের নাম। তা সত্ত্বেও শুভেন্দুর দাবি, বিজেপির ৭৫ জন বিধায়কই আছেন । 


যদিও অনেকে বিধানসভার অন্দরে দলবদলের বিষয়টি স্বীকার করেন না। সূত্রের খবর, দলত্যাগ বিরোধী আইনে সুমন কাঞ্জিলালের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে, মঙ্গলবার বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে আর্জি জানাতে পারে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, তৃণমূলের মুখপাত্র সুদীপ রাহা শুভেনদু অধিকারীকে ট্যাগ করে ট্যুইটারে লিখেছেন, ক্যামাক স্ট্রিটের দরজায় অপেক্ষায় আছেন আরও ১৩ জন! বিরোধী দলনেতার মর্যাদা টিকবে তো?


সম্প্রতি খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা নিয়ে, শোরগোল পড়ে গেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। তাতে অন্য় মাত্রা যোগ করেছিল ভাইরাল ছবি। যেখানে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল কোঅর্ডিনেটর অজিত মাইতির সঙ্গে দেখা গেছিল বিজেপি বিধায়ক হিরণকে। সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূলে আসার পর ফের দলবদলের জল্পনা উস্কে দিয়েছে শাসক দল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি আবার , ' শুধু যোগাযোগ রেখেছেন এমনটা নয়, কেউ দিল্লিতে, কেউ কলকাতায়, কেউ ক্যামাক স্ট্রিটে, কেউ মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকালে শারীরিকভাবে বৈঠক করেছেন।  খোলাখুলি ভাবে তৃণমূলে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। ' কিন্তু এইসব জল্পনাকে পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির।