কলকাতা: রামনবমী ঘিরে অশান্তির রেশ কাটেনি এখনও। তার মধ্যেই হনুমান জয়ন্তী নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। সেই আবহেই এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নজরবন্দি করার দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) নামানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নিয়ে নবান্নের তরফে তিন কোম্পানি বাহিনী নামানোর আবেদনও জানানো হয়েছে। তার পর, আগামী কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই মমতাকে গৃহবন্দি করার দাবি জানালেন শুভেন্দু।
উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নজরবন্দি করার দাবি
কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আগামী কালই মুখ্যমন্ত্রীকে নজরবন্দি করার দাবি তুললেন শুভেন্দু। রামনবমীর পরে হনুমান জয়ন্তী, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে উস্কানির অভিযোগ ছিল দাবি শুভেন্দুর। তাঁর দাবি, উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নজরবন্দি করার দাবি। সেই নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল।
শুভেন্দুর মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদাবর বলেন, উস্কানিমূলক মন্তব্য তো শুভেন্দু অধিকারী করেন! কোর্ট বারণ করেছে তা-ও। আগে ওঁকে জেলে পোরা দরকার। মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন উনি। গতকাল সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার জন্য সঙ্গে নেননি। তখন থেকেই এলোমেলো কথা বলতে শুরু করেছেন।
জয়প্রকাশের কথায়, "সংবিধানে কী নিয়ম-কানুন আছে জানেন না শুভেন্দু। নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে এলোমেলো কথা বলছেন যে নজরবন্দি করা উচিত। কেন্দ্রীয় বাহিনী তিন কোম্পানি আসছে মানে ৩০০ জন। আদালতের নির্দেশ আসছে। কী করতে হবে বলে দিয়েছে। আদালত বলেছে, কোনও উস্কানিমূলক মন্তব্য নয়। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী কোর্ট মানেন না। মনে করেন এটা ওঁর বাবার জমিদারি। এই উস্কানিমূলক কথার জন্য এখনই শুভেন্দুকে গ্রেফতার করা দরকার। জেল হওয়া দরকার এখনই। বাংলায় শান্তি রাখতে গেলে, সম্প্রীতি রাখতে গেলে, শুভেন্দুর মতো লোকজনকে আগে জেলে পোরা দরকার।"
হনুমান জয়ন্তী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "৬ তারিখ মনে রাখবেন, আমরা বজরঙ্গবলীকে সবাই সম্মান করি। কিন্তু ওরা যেন দাঙ্গার নামে আবার কোনও পরিকল্পনা না করতে পারে। সারা ভারতবর্ষে করছে।" বুধবারও ফের তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আগামীকাল হনুমান জয়ন্তী। সবাই শান্তিতে সবকিছু পালন করুন। শান্তিতে সবকিছু হলে সমস্যা হয় না। বাংলা শান্তির জায়গা। বাংলায় সব ধর্ম, সব উৎসবকে আমরা সম্মান করি। ধর্ম যার যার নিজের। উৎসব সবার। সব উৎসবে যেন শান্তিপূর্ণ ভাবে শামিল হতে পারি আমরা।"