কলকাতা: পাটনায় বিরোধীদের বৈঠক নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। রাহুল গাঁধী, সীতারাম ইয়েচুরি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসারিতে বসিয়ে আক্রমণ। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানেই পরোক্ষে তৃণমূলকেই ভোট। চুরির তদন্ত বন্ধ করাই তৃণমূলের লক্ষ্য। তোপ বিরোধী দলনেতার। পাল্টা জবাব দিয়েছে বাম-কংগ্রেস।                                  


বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারী: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোটের মহড়া সম্প্রতি হয়ে গিয়েছে পাটনায়। এবার সেই বৈঠককে সামনে রেখেই কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূলের আতাঁতের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্র থেকে মোদি সরকারকে উৎখাত করতে শুক্রবার, পাটনায় এক ছাতার তলায় এসে বৈঠক করেছে তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিজেপি বিরোধী দলগুলি। সেইদিনই, বাংলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির তদন্ত নিয়ে রীতিমতো উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেউ কিছু বললে ইডি, সিবিআই লাগিয়ে দেয়। চালাকি করে আইনজীবীদের কোর্টে পাঠিয়ে কেস করে সিবিআই, ইডি করে দেয়। পঞ্চায়েতেও সিবিআই।’’                          

রবিবার, দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বলেন, “দিল্লিতে যদি মোদিজি না থাকে তবে সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ হবে। দিল্লি থেকে সরকার বদল করে পশ্চিমবাংলায় সিবিআই, ইডি, এনআইএ...চুরির তদন্ত বন্ধ করতে চায়। সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া। তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে চুরির তদন্ত বন্ধ হওয়া।’’                             


তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ওরা তো নার্ভাস হবেই। ১৪ টা বিরোধী দল একবাক্যে কথা বলল মোদিকে সরাতে চাই। এত একটা বড় অ্যাচিভমেন্ট। এর মধ্যে আমাদের নেত্রী মমতা ব্যানার্জির বড় অবদান আছে। উনি বলেছেন অতীতের কথা সব ভুলে যান। কতগুলো সিটে আমরা ওয়ান ইসটু ওয়ান করতে পারি সেটা দেখুন। সাড়ে ৪০০ সিটে যদি একটা প্রার্থী দেওয়া যায় তাহলে ২৭০ পেয়ে যাবে বিরোধীরা। কোনও অসুবিধা হবে না। বাংলায় আর কদিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন! তার আগে, এবার দিল্লিতে মোদি বিরোধী জোটের বৈঠককে হাতিয়ার করে সিপিএম-কংগ্রেস-তৃণমূল আঁতাঁতের অভিযোগ তোলার কৌশল নিল বিজেপি।              

আরও পড়ুন: Clove Farming: লক্ষ্মীলাভ করতেও ভরসা উপকারী লবঙ্গ! লাভ পাবেন চাষিরা