ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠল কাঁথির অধিকারী পরিবারের (Adhikari Family) বিরুদ্ধে (Corruption Election)। সরকারি টাকায় বাতিস্তম্ভ বসানোয় দুর্নীতির অভিযোগ। অভিযুক্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারী (Krishnendu Adhikari) এবং ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রী সুতপা অধিকারী (Sutapa Adhikari)। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল পুলিশ।
ফের দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়াল অধিকারী পরিবারের
কাঁথি পুর এলাকায় বাতিস্তম্ভ বসানোর কাজে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণেন্দু এবং তাঁর স্ত্রী সুতপাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই অভিযোগে তাঁদের কি প্রতিক্রিয়া, তা নাতে ফোন করা হয়েছিল শিশির অধিকারীকে। কিন্তু এবিপি আনন্দের ফোন ধরেননি তিনি। আর দিব্যেন্দুর দাবি, এ রকম কোনও নোটিস পাননি তাঁরা।
তবে অধিকারী পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মন্তব্য করেন কাঁথিতে বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত। তাঁর বক্তব্য, "এ ব্যাপারে বিশদ জানি না আমি। তবে বিজেপি-কে সহ্য করতে পারছে না তৃণমূল। ওই পরিবারের লোকজনকে শায়েস্তা করতে চাইছে। কিন্তু আদালতে গিয়েও সুবিধা করতে পারছে না। তাই রাগ মেটাতেই এ ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে।"
কিন্তু হেনস্থার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কাঁথির তৃণমূল সভাপতি তরুণ কুমার মাইতি বলেন, "তাহলে তো রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হেনস্থা করা হচ্ছে বলতে হয়! কাঁথি পুরসভায় যে দুর্নীতি হয়েছে, তার নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। তাতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। যোগসাজশ না থাকলে, জেরার জন্য যেতে ভয় পাচ্ছেন কেন!"
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে অভিযোগ বিজেপি-র
এর আগে, কাঁথির রাঙামাটি শ্মশানে ইলেকট্রিক চুল্লি নির্মাণের জমিতে দোকান তৈরি করে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে অধিকারী পরিবারের আর এক সদস্যের বিরুদ্ধে। শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। ঘটনার নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে সেই সময় দাবি করে বিজেপি। যদিও এর পিছনে তাদের কোনও ভূমিকা নেই বলে দাবি করে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।