বিজেন্দ্র সিংহ, অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, নয়াদিল্লি : সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ( Amit shah ) সঙ্গে বৈঠকের পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ( Suvendu Adhikari )  বক্তব্য ঘিরে এখন তুঙ্গে জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, কীসের ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা? রবিবার দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু। ভোটের আগে এই সাক্ষাৎ কী রণকৌশল ঠিক করার জন্যই ? জল্পনা ছিল তেমনটাই। সোমবার শাহী দরবার থেকে শুভেন্দু বেরিয়েই বললেন, অ্যাকশন ও রিঅ্য়াকশন আপনাকে দেখতে হবে।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, যা আলোচনা হল, যা রোডম্য়াপ হল, তার অ্য়াকশন ও রিঅ্য়াকশন আপনাদের দেখতে হবে। কীসের ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা? তা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল।  


তাহলে কি লোকসভা ভোটের আগে ফের রাজ্যজুড়ে ED-CBI-র তৎপরতার আগাম আভাস? না কি নিছকই রাজনৈতিক কৌশল? সেসব ভাঙতে চাননি শুভেন্দু। শুধু বললেন, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যে আলোচনা হল, সেটা তো আমি বাইরে বলব না ! তবে কি আগাম কোনও বড় চমকের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু অধিকারী?  


রবিবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  সোমবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। এদিন, উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গেও দেখা করেন বিরোধী দলনেতা। এরপর কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি একই দিনে। রাতে এয়ারপোর্টে নেমেও তীর্যক সুরে শুভেন্দু বলেন, 'চোর মমতাকে টাইট দিতে গেছিলাম, টাইট দিয়ে এসেছি।'   


আরও পড়ুন :


ওষুধের পর ওষুধকে ব্যর্থ করছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স, ছড়াচ্ছে আতঙ্ক, মুক্তির পথ কী? 


লোকসভা ভোটের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটার তালিকা থেকে বিজেপির নেতা-কর্মীদের নাম বাদের অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী।  শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ জানাল বিজেপির প্রতিনিধি দল। নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।  ভোটার তালিকা থেকে বিজেপির নেতা-কর্মীদের নাম বাদ দেওয়ার পিছনে SDO, BDO-দের একাংশ জড়িত বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়েও শাহের সঙ্গে কোনও কথা হয়েছে কি না বিরোধী দলনেতার, তা অবশ্য জানা যায়নি।