কোলাঘাট: শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়াবাড়িতে পুলিশি হানা নিয়ে তরজা জারি। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে, এক দুষ্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি বলে দাবি করেছে পুলিশ। সেই আবহে বঙ্গসফরে এসে বিরোধী দলনেতার পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পরই ফের রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, বাড়িতে অস্ত্র, মাদক ঢুকিয়ে দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিল পুলিশ। কোলাঘাট, তমলুক থানার IC এবং OC-কে সাসপেন্ড করার দাবিও তুললেন। (Suvendu Adhikari) 


এদিন এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, "প্রতিহিংসার রাজনীতি। পার্থর যে বান্ধবী, অপার বাড়ি থেকে ৫১ কোটি পাওয়া যায়, আর খালিহাতে ফিরে যেতে হয় বিরোধী দলনেতার বাড়ি থেকে। Shame মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮ তারিখ SP নিখিল আগরওয়ালকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। শুক্রবার হাইকোর্টে শুনানি রয়েছে।" (Police Raids)


নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, "নির্বাচন কমিশনে সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, নিখিল আগরওয়াল এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানিয়েছি আমি। ভিডিও ফুটেজও দিয়েছি।" ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়কের বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে শুভেন্দুর দাবি, এসব করে কিছু হবে না। যত এসব হবে, তত হারবে তৃণমূল। 


আরও পড়ুন: Lok Sabha Elections 2024: প্রথম বার নির্বাচনে কেউ, কেউ আবার পোড় খাওয়া, ষষ্ঠ দফায় ভাগ্যপরীক্ষা হেভিওয়েটদেরও


কলকাতা হাইকোর্ট এদিন তৃণমূল জমানার প্রায় ৫ লক্ষ OBC শংসাপত্র বাতিল করেছে। সেই প্রসঙ্গেও এদিন রাজ্যকেই দায়ী করেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়ী এর জন্য। সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে করতে গিয়েছিলেন। অসাংবিধানিক কাজ করলে উচ্চ আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।" তবে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি মমতার নির্দেশেই হয়েছে বলে এদিন দাবি করেন শুভেন্দু। যদিও তৃণমূলের প্রশ্ন, কিছু না থাকলে তল্লাশিতে এত গোঁসা কেন শুভেন্দুর?


পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু এবং হিরণ। পর্যাপ্ত তথ্য এবং নথি ছাড়াই তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ, অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের দুই নেতার। তাঁদের মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।গতকাল কোলাঘাটে শুভেন্দুর ভাড়াবাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। এর পর রাতভর পশ্চিম মেদিনীপুরে একের পর এক বিজেপি নেতার বাড়িতে পুলিশি অভিযান চলে। পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু-হিরণ। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে তরজা শুরু হয়েছে।