খড়গপুর : আনন্দবাজারের (Anandabazar Patrika) খড়্গপুরের (Kharagpur) সাংবাদিক দেবমাল্য বাগচীকে (Debmalya Bagchi) গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশের সমালোচনা করে টুইট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একই সঙ্গে কয়েকটি জেলা শহরে প্রতিবাদ সভারও ডাক দিয়েছে সাংবাদিক সংগঠনগুলি।
 
বুধবার দেবমাল্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুভেন্দু বৃহস্পতিবার তাঁর 'X' হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) লেখেন, '২৭ অগাস্টে আনন্দবাজারের খড়্গপুর সংস্করণে শহরের সাঁজোয়াল এলাকায় চোলাই মদের রমরমা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।এই খবরে পুলিশ প্রশাসনের অকর্মণ্যতা নিয়ে প্রতিক্রিয়া হয় এবং কীভাবে বাড়িতে চোলাইয়ের ব্যবসা চলছে, তা তুলে ধরা হয়। পুলিশ কয়েক জন মদ্যপকে ধরে জনরোষ সামাল দিতে চায়। কিন্তু মূল অভিযুক্তরা গা ঢাকা দেয়। যিনি অভিযোগ করেছিলেন, (এর পর) চোলাইয়ের কারবারিরা তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে এবং অভিযোগ তোলা নিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়।' 


শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, ২৮ অগাস্ট চোলাইয়ের কারবারির আত্মীয়েরা অভিযোগকারিণী ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের নামে মামলা করে। ওই অভিযোগ ধরে পুলিশ দ্রুত কাজে নেমে পড়ে। তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের বিরুদ্ধে অত্যাচার প্রতিরোধ আইনের ৩ (১) (আর) (এস) ধারায় এফআইআর হয়। সাংবাদিক দেবমাল্য বাগচী এবং অভিযোগকারিণী বাসন্তী দাসকে গ্রেফতার করা হয়।


 






বুধবার দেবমাল্যদের মেদিনীপুর আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে। পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারের দাবি, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাসের দাবি, সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করছে পুলিশ। তাই সাংবাদিককে মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। 


অন্যদিকে, জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, "একটি অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পদক্ষেপ করেছে শুনেছি। এমন ঘটনা না ঘটলেই ভাল হত।" 


দেবমাল্যের পরিবারের কথায়, সেই রাতে পুলিশ বাড়ি ঘিরে ফেলায় সকলেই ভয় পেয়েছিল। আইন আদালতের উপরে তাঁদের আস্থা আছে জানিয়ে তাঁরা বলেন, "ও নিশ্চয়ই ন্যায় বিচার পাবে।" এদিকে দেবমাল্যদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে একাধিক সংগঠন। ‘ইন্ডিয়ান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’-এর বর্ধমান জেলা শাখা বর্ধমান শহরে সভার ডাক দিয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় এই সভা হবে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে।