গড়বেতা, পশ্চিম মেদিনীপুর: ফের শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) মুখে বামপন্থীদের পাশে আনার ডাক। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) গড়বেতার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উৎখাত করতে পুরনো বামপন্থীতদের ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বামপন্থীদের একটা বড় অংশ এখন বিজেপির (BJP) সঙ্গে আছে। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'খেতমজুরদের স্বার্থে লড়াই করেছিল আগের বামপন্থীরা। পুরনো বামপন্থীদের ৬০ শতাংশ বিজেপির সঙ্গে এসেছে।' তাঁর দাবি, বামপন্থা নয়, নরেন্দ্র মোদি দেশকে রক্ষা করতে পারবে, পুরনো বামপন্থীরা এটা বুঝতে পেরেছে।
গড়বেতায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে উঠে এল ছোট আঙারিয়া প্রসঙ্গও। বিরোধী দলনেতার দাবি, '২০০০ সালের ৪ জানুয়ারি ৯ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, ৪ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ২০০০ সালের পর ছোট আঙারিয়ায় তৃণমূলের কেউ আসতে পারেনি। তৃণমূলের অধিকার নেই ছোট আঙারিয়া দিবস পালন করার।' একমাত্র বিজেপিই তৃণমূল সরকারকে হঠাতে পারে, আশ্বাস শুভেন্দু অধিকারীর।
একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়েও আশ্বাস বিরোধী দলনেতার। রান্নার গ্যাস (LPG) থেকে অন্নপূর্ণা যোজনা- সবকিছু নিয়েই একগুচ্ছ আশ্বাস বিরোধী দলনেতার। শুভেন্দু অধিকারীর আশ্বাস, 'বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে ৪৫০ টাকায় গ্যাস, চালু করব অন্নপূর্ণা যোজনা। অন্নপূর্ণা যোজনায় মাসে ২০০০ টাকা করে দেবে বিজেপি।' ১০০ দিনের কাজের বকেয়া নিয়ে রোজই কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে তৃণমূল। এদিন শুভেন্দুর আশ্বাস, 'যারা সত্যিকারের জব কার্ড হোল্ডার, কাগজ তৈরি রাখুন, আমরা আপনাদের টাকা পাইয়ে দেব। ১০০ দিনের কাজের টাকা চোরেদের জেলে ঢোকাতে হবে।' এদিন তিনি তোপ দেগেছেন আবাস যোজনা নিয়েও। শুভেন্দুর প্রশ্ন, 'প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৩০০০০ কোটি টাকা কোথায় গেল?' তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রে পাঠানো সব টাকা লুঠ করেছেন তৃণমূল নেতারা। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, শাসক দলের বিধায়ক। সেই ঘটনা নিয়েও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রচারই সেরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। কর্মীদের মনে করিয়ে দিয়েছেন অমিত শাহের বেঁধে দেওয়া টার্গেটের কথা। শুভেন্দুর দাবি, 'উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, অসম, মধ্যপ্রদেশের মতো বাংলাতেও ডবল ইঞ্জিন সরকার চাই। কংগ্রেসের শাসন দেখেছেন, বামেদের শাসন দেখেছেন, এখন তারা রিজেক্টেড।'
দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গলার স্বর পরীক্ষা করেছে ইডি। তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর তোপ, '৪ মাস ধরে কীভাবে এসএসকেএমে কালীঘাটের কাকু? কাকুর ভয়ে ভাইপো হাওয়া হয়ে গেছে, পিসি ঘুমোতে পারেনি।'
আরও পড়ুন: সরকারি বাংলো খালির নির্দেশ স্থগিতাদেশ নয়, দিল্লি হাইকোর্টেও ধাক্কা মহুয়ার