কলকাতা: তৃণমূলে (TMC) নবীন-প্রবীণ বিতর্কে এবার যোগ দিলেন আব্দুল করিম চৌধুরী। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে তীব্র আক্রমণ ইসলামপুরের বিধায়কের। নাম না করে তৃণমূলের 'সেনাপতি'কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন  তিনি। শুধু তাই নয়, নবীন-প্রবীণ বিতর্কে লাগাতার মন্তব্য করে চলা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কেন কুণালকে সঙ্গে সঙ্গে সরালেন না, প্রশ্ন তুলেছেন আব্দুল করিম। (Abdul Karim Chowdhury)


বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে নবীন-প্রবীণ বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেন আব্দুল করিম। তিনি বলেন, "কুণাল ঘোষ অনেক কথা বললেন, শুনেছি আমরা। মমতাদির উচিত ছিল ওঁকে তৎক্ষণাৎ সরিয়ে দেওয়া। প্রবীণদের ছাড়া বাংলা কেন, কোনও রাজ্য, এমনকি দেশই চলবে না। বাঁদরের হাতে নারকেল দেওয়া আর কী..যে সেনাপতি হয়েছে না! আগেই বলেছিলাম মমতাদিকে যে, বাচ্চা ছেলে, বালক। সঙ্গে রাখুন। কিন্তু পুরো ক্ষমতা দেবেন না। বাচ্চা ছেলে, শিশু।"


আব্দুল করিম যদিও সরাসরি নাম উল্লেখ করেননি। তবে 'সেনাপতি' বলে তিনি অভিষেককেই নিশানা করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ তৃণমূলে অলিখিত ভাবেই মমতার উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হয় অভিষেককে। মমতা যদি দলের কাণ্ডারী হন, তাহলে অভিষেক তাঁর সেনাপতি, এমন মন্তব্য একাধিক বার শোনা গিয়েছে কুণাল-সহ দলের অন্য নেতাদের মুখে। সেই আবহে আব্দুল করিমের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: Saayoni Ghosh: কার্জন গেট কি ছিল ১২ বছর আগে! কী বলছেন তৃণমূলের সায়নী


এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্য, "তৃণমূলে একটিই পোস্ট। রাজার পর যেমন তাঁর ছেলে বা মেয়ে উত্তরাধিকারী হন। তৃণমূলও তেমনই, একটা কোম্পানি। নবীন আর প্রবীণের মধ্যে এখন দরাদরি চলছে। মাল ঝাড়াতে কে কত ভাগ পাবে, সেই নিয়ে লড়াই। করিম সাহেবের কাছে মাল পৌঁছচ্ছে না তাই মুখ খুলেছেন। পৌঁছলে ঠান্ডা হয়ে যাবেন।"


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "দৈত্যকুলের সংঘাত চলছে। সবই তো দৈত্য। এগুলো চলবে। আরও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটবে। এখনও পর্যন্ত তো কেউ খুন হননি। এর পর খুনও হবে।" তবে বিরোধীরা সমালোচনায় সরব হলেও, তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ সংঘাত নিয়ে পারদ চড়ছেই ক্রমশ। লাগাতার প্রকাশ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে চলেছেন তাঁরা।