কলকাতা: ‘বিরোধী দলনেতাকে বিকাশ ভবনে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ভোটে আটকাতে না পেরে পথে আটকানো হচ্ছে।’ গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর বিকাশ ভবনে যাওয়ার সময় পুলিশের বাধা দান  প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের।


রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেছেন, আমরা ভোটে প্রচার করতে গেলেও আটকানো হচ্ছে। গণতন্ত্রে বিরোধীদের আটকানোর কোনও ব্যাপার নেই। কোথাও এমনটা হয় না। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই এমন হয়। জোর করে, পুলিশ দিয়ে আটকানো হয়। 


‘খুলতে হবে স্কুল-কলেজ’, দিনে দিনে জোরাল হচ্ছে এই দাবি। কলকাতা থেকে জেলায়, স্কুল খোলার দাবিতে শুরু হয়েছে আন্দোলন। বৃহস্পতিবার স্কুল খোলার দাবিতে পথে নামে SFI, ছাত্র পরিষদ এবং ABVP।  গতকাল  স্কুল খোলার দাবিতে  বিকাশ ভবনে যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকায় পুলিশ। যা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।


করোনা-আবহে প্রায় দু’বছর ধরে, বন্ধ স্কুল। মাঝে দু’বার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হলেও, তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে ফের তা বন্ধ হয়ে গেছে। আর কচিকাচারা তো দু-দু’টো বছর স্কুলের মুখই দেখেনি! কিন্তু, বিধি মেনে সব চললে স্কুল কেন খোলা যাবে না? এই প্রশ্ন তুলে, স্কুল খোলার দাবিতে বৃহস্পতিবার পথে নামে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন SFI। কলেজ স্ট্রিটে মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখান SFI’এর সদস্যরা।বেহালার সখেরবাজার, যাদবপুর, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে বিকল্প ক্লাসরুম হিসেবে, রাস্তায় পড়ুয়াদের বসিয়ে প্রতীকী ক্লাসরুমের আয়োজন করে তারা।স্কুল খোলার দাবিতে কলেজস্ট্রিটে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের সদস্যরাও।কলেজ স্ট্রিটে অবস্থানে বসে RSS’র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা ABVP।ABVP’র সদস্যরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি।


স্কুল খোলার দাবিতে, গতকাল শিক্ষাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে বিকাশ ভবন যাচ্ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পথে, তাঁকে আটকায় পুলিশ। এরপরই, পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াল বিরোধী দলনেতা।স্কুল-কলেজ খোলার দাবিতে স্লোগান দেন বিরোধী দলনেতা।রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান তিনি।শুভেন্দু বলেন, কাল আবার বিকাশভবনে আসব, পরশু আসব। প্রতিদিন আসব। কেউ না কেউ আসব।পড়ুয়াদের ভবিষ্যত অন্ধকার করার প্রয়াস নিয়েছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবি করছি। বিয়েবাড়ি হতে পারে, স্কুল খুলতে পারে না?