কলকাতা: হাওড়ার ঘটনায় কড়া অবস্থান নিয়েছে রাজভবন (Raj Bhavan)। রাজভবনের তরফে জারি করা কড়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাওড়ার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য় রাজ্য়পাল ও মুখ্য়মন্ত্রীর মধ্য়ে কথা হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা ও দুষ্কৃতীদের। পরিবারের বিরুদ্ধে কড়া ব্য়বস্থা নেওয়ার জন্য় রাজ্য় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য়পাল। আর এই ইস্যুতেই এদিন ফের ট্যুইট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু ট্যুইটে বলেছেন, 'রাজভবন চোখ-কান খোলা রাখবে, এটা শুনে ভাল লাগছে। এবার দুষ্কৃতীদের ধরতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।' উল্লেখ্য, এই ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য় কঠোর ব্য়বস্থা নেওয়ার ব্য়াপারে মুখ্য়মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন। ঘটনার দিকে প্রতি মুহূর্তে নজর রেখে চলেছে রাজভবন এবং এর জন্য় একটি স্পেশাল সেল তৈরি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিবপুরকাণ্ডের পর সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু। শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে, 'তোষণের রাজনীতি তৃণমূল নেত্রীর' নিশানা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, 'ধর্নামঞ্চ থেকেই রামনবমী নিয়ে আক্রমণ করেন মমতা।'বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এদিন শুভেন্দু, এর কারণ ব্যাক্ষা করে, 'দিদি তথাকথিত ধর্নার মঞ্চ থেকে পরশুদিন, রামনবমীর অনুষ্ঠানকে, তার শোভাযাত্রাকে , রামনবমী পালনকে সকলের সামনে ব্যপকভাবে আক্রমণ করেছিলেন।'
তিনি আরও বলেন,' আপনাদের জেনে রাখা দরকার রামনবমী কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল না। গত দু-তিন মাস ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, এবং অসংখ্য সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার সংগঠনগুলি, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এই রামনবমীর অনুষ্ঠান, কোভিড পরবর্তী সময়ে, যেহেতু সব বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে, বিপুল উৎসাহ , উদ্দীপনার সঙ্গে পালনের প্রস্তুতি নিয়েছিল।'
উল্লেখ্য, হাওড়া ও ডালখোলায় রাম নবমীর মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অশান্ত এলাকাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি, ট্যুইট করে জানান শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, রামনবমী ইস্যুতে নিশানা, দিলীপের প্রশ্নের মুখে 'পিসি ও ভাইপো'
অপরদিকে, ট্যুইটে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে বলেন,' রামনবমীর দিন পিসি এবং ভাইপো ধর্না করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুদের উৎসবে ধর্না করেন এবং অন্যান্য ধর্মের উৎসবে ছুটি দেন। কীভাবে তিনি নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেন ? প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ ঘোষ। এখানেই শেষ নয়, ট্যুইটে আপলোড করা ভিডিওতে দিলীপ ঘোষকে গঙ্গা আরতি নিয়েও প্রশ্ন করতে শোনা যায়।