কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) মাওবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে NIA তদন্ত চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।


'যাদবপুর' নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর 


বিজেপি মুখপাত্র রাজর্ষি লাহিড়িও যাদবপুরের। ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা করেছেন। NIA তদন্ত ও UGC-র গাইডলাইন মানতে নির্দেশ দিক আদালত, দাবি মামলাকারীর প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। যাদবপুরকাণ্ডে এই নিয়ে হাইকোর্টে মোট ৪টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।


কেন যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু ?


প্রসঙ্গত, খুনের চেষ্টার অভিযোগে যাদবপুর থানায় অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। গত বৃহস্পতিবার যাদবপুরকাণ্ডে বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিলেন বিরেধী দলনেতা। সেখানেই ৪ নম্বর গেটের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখানোর পর বেঁধে গিয়েছিল অশান্তি। এবার সেই ঘটনাতেই এফআইআর করেছিলেন তিনি। 


ঠিক কী হয়েছিল ?


যাদবপুরকাণ্ডে বৃহস্পতিবার বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে এইট বি বাসস্ট্যান্ডের দিকে এগোনোর সময় রক্তারক্তি কাণ্ড বেঁধে যায়। ৪ নম্বর গেটের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে কালো পতাকা দেখিয়েছিলেন সেদিন কয়েকজন। সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী দলনেতার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষীরা নেমে এসে তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেছিল বলে অভিযোগ।


যাদবপুরে মাওবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু


অশান্তি-র আবহেই হঠাৎ এই যুবকের সঙ্গে কয়েকজনের মারামারি বেঁধেছিল। বিজেপি এবং যুব মোর্চার সদস্যদের লাথি, ঘুষিতে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। তাঁর নাক-মুখ ফেটে রক্ত পড়তে শুরু করেছিল। এই ঘটনার পরই, যাদবপুর থানায় এফআইআর দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এফআইআরে তাঁর উপর প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। এই ঘটনায় অতি-বাম নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিরোধী দলনেতা।  


আরও পড়ুন, 'সিপিএম-কংগ্রেসকে আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টায় BJP', মন্তব্য মমতার


যাদবপুরের ঘটনায় বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিবাদ সভায় হুঙ্কার দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ' আমরাও এখান থেকে এই তথাকথিত টুকরে টুকরে গ্যাং, দেশবিরোধী শক্তি, ইনকিলাবি নাড়া, চিন যাদের বাপ আর মা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যার গার্জেন তাঁদেরকে তুলে ফেলব। এ দায়িত্ব আমাদের।'