নয়াদিল্লি: একসময় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে মন্তব্য করে নুপুর শর্মাকে নিয়ে উঠেছিল বিতর্কের ঝড়। পয়গম্বর বিতর্কে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। শেষমেষ নুপুর শর্মাকে সাসপেন্ডও করেছিল বিজেপি। আর এবার ক্যাশ ফর কোয়েশ্চেনকাণ্ডে সংসদ থেকে বহিষ্কৃত করা হল কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra's MP Post Rejected)। প্রেক্ষাপট আলাদা হলেও মহুয়ার সঙ্গেও অতীতে জুড়ে রয়েছে কালী-মন্তব্য ইস্যুতে বিতর্ক। আর এহেন সময়ে ঠিক সেই জায়গাটাই মনে করালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মহুয়া বহিষ্কৃত হতেই পুরোনো ইস্যু কালী-মন্তব্য বিতর্কে ট্যুইটে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 'ভগবানকে নিয়ে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাঁর ক্রোধ আপনাকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে। জয় মা কালী। মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের পর, সোশাল সাইটে পোস্ট রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।


প্রসঙ্গত, কানাডার একটি তথ্যচিত্রের পোস্টারে কালীর ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। একটি মিডিয়া গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে, মা কালী নিয়ে মহুয়ার মন্তব্যের পরই  বিতর্ক ছড়িয়েছিল । সেই সময়ই দল থেকে ট্যুইট করে বলে দেওয়া হয়েছিল, যে তারা মহুয়ার বক্তব্য মানছেন না। তারপর মহুয়া মৈত্রও একটি ট্যুইট করেছিলেন। তিনি লিছেছিলেন, ,' সঙ্ঘীদের বলছি, মিথ্যা বলে খাঁটি হিন্দু হওয়া যায় না। আমি কোনও সিনেমা বা পোস্টারকে সমর্থন করিনি। ধূমপান শব্দটিরও উল্লেখ করিনি। আপনাদের বলছি, তারাপীঠে গিয়ে দেখে আসুন, মা কালীকে ভোগ হিসেবে কী খাবার ও পানীয় দেওয়া হয়। জয় মা তারা।'


তবে মহুয়া মৈত্রর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ করার সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি।রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও ট্যুইট করেছিলেন। বলেছিলেন,'.. মা কালী হিন্দুদের কাছে যুগ যুগ ধরে অশুভ শক্তির বিনাশকারী শক্তির প্রতীক রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। মহুয়া মৈত্রর মা কালী সম্পর্কে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।' এই প্রসঙ্গে নাম না করে নূপুর শর্মার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। 


আরও পড়ুন, আজ আমার সাংসদ পদ খারিজ, আমি নিশ্চিত কালই আমার বাড়িতে যাবে CBI : মহুয়া মৈত্র


 মূলত, দুবাইয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্য়বসায়ী দর্শন হিরানন্দানিকে, সাংসদ পোর্টালের লগ ইন পাসওয়ার্ড দেওয়ার অভিযোগও ওঠে মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে, সংবাদসংস্থা ANI জানিয়েছিল,জাতীয় লোকপালের সুপারিশ মতো মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে CBI । যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে মহুয়া মৈত্রর দাবি ছিল, মোদি সরকারের সঙ্গে শিল্পপতি গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্যই, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিজেপি। এদিন লোকসভায় ধ্বনিভোটে পাস এথিক্স কমিটির সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশেই সিলমোহর দিলেন অধ্যক্ষ।