ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মেডিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ করা যাবে। পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে কেনা যাবে, কার্ডিওলজি ও অর্থোপেডিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত -পেসমেকার, স্টেন্ট, টাইটেনিয়াম প্লেট জাতীয় উন্নতমানের যন্ত্রাংশ, জানাল স্বাস্থ্য দফতর। 


স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বাড়ানো হল, পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচসীমা। পাশাপাশি, এবার থেকে সহজেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে কেনা যাবে, পেসমেকার, স্টেন্ট-জাতীয় যন্ত্রাংশ। 


স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, এবার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত মেডিক্য়াল পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ বহন করবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এতদিন, যে টাকার অঙ্ক ছিল ৫ হাজার। 


তবে শর্ত হচ্ছে, যে, ল্যাব থেকে এই টেস্ট করা হবে তা বাধ্যতামূলকভাবে NABH বা National Accreditation Board for Hospitals-স্বীকৃত হতে হবে। এতদিন, অতিরিক্ত যে খরচ রোগীর পরিবারকে বহন করতে হত, এবার তা অনেকাংশেই লাঘব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 


আরও পড়ুন, 'মন দিয়ে ব্যবসা করুন, ৫ জনের চাকরি হবে', নতুন কাজের দিশার পরামর্শ মমতা


পাশাপাশি, সরকারি হাসপাতালে এবার থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে, কার্ডিওলজি ও অর্থোপেডিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত - পেসমেকার, স্টেন্ট, টাইটেনিয়াম প্লেট জাতীয় উন্নতমানের যন্ত্রাংশ কেনা যাবে।                                                           


যা এতদিন অবধি স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে কেনা যেত না। এতে, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের বিশেষ সুবিধা হবে বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর।                             


সাধারণ মানুষের চিকিৎসার সুবিধার জন্য, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে বেসরকারি হাসপাতালেও ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ মেলে। কিন্তু, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি, বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে স্বাস্থ্যসাথীর ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘন করেছে এমন ৩০ শতাংশ ঘটনাই বেসরকারি হাসপাতালের। 


এই প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্য়ভবন। বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের জন্য। তৈরি করা হল স্টেট এবং ডিস্ট্রিক্ট সার্ভেলেন্স টিম। বেসরকারি হাসপাতাল যে টাকা দাবি করছে, তার মধ্য়ে কোনও দুর্নীতি আছে কিনা, সেটা দেখা। 


কারচুপি না থাকলে, অডিটের সাতদিনের মধ্যে হাসপাতালকে প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। আর কোথাও দুর্নীতির প্রমাণ মিললে, সেই টাকা স্বাস্থ্যসাথীর নোডাল এজেন্সিকে ফেরত দিতে হবে। 


আর একই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও, রোগীর চিকিৎসা না করাতে চাওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী অবধি! এবার স্বাস্থ্যসাথীতে চিকিৎসার খরচ নিয়ে, স্বাস্থ্য দফতরের পদক্ষেপে কী কাজ হয়, সেটাই দেখার।