অরিত্রিক ভট্টাচার্য, ঝালদা, পুরুলিয়া: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের (Tapan Kandu Murder) মামলার তদন্তে এবার সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে ঝালদা থানার আইসি। বৃহস্পতিবার ওই খুন প্রসঙ্গে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। এদিন সকাল দশটা নাগাদ সিবিআইয়ের ক্যাম্পে যান আইসি সঞ্জীব ঘোষ।


কোন কোন প্রশ্নের খোঁজ:
একাধিক বিষয়ের উত্তর খোঁজা চেষ্টা চালাচ্ছে সিবিআই। ঝালদার আইসির (IC) কাছ থেকেও একাধিক তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ঘটনার দিন পুলিশি ব্য়বস্থা কী ছিল, তার খোঁজ চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। সিবিআই সূত্রে খবর, কাছাকাছি পুলিশের নাকা পয়েন্ট থাকলেও সেখানকার কর্মীরা কেন দ্রুত ঘটনাস্থলে যাননি, সে বিষয়ে আইসি-র কাছে জানতে চাওয়া হবে। ঝালদা কাণ্ডে আইসি হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল পরিবারের তরফে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আইসি চাপ দিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছিল। তপন কান্দুর পরিবারের তরফে একটি অডিও ক্লিপ (Audio Clip) প্রকাশ করা হয়েছিল। সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। সেই অডিও প্রসঙ্গেও এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি, তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় অন্যতম সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের রহস্যজনক মৃত্যুর (Death) ঘটনাতেও এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করল সিবিআই।


কে গ্রেফতার?
ঝালদাকাণ্ডের (Jhalda) তদন্তে বুধবার সিবিআইয়ের হাতে প্রথম গ্রেফতার (arrest) হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে ব্যবসায়ী সত্যবান প্রামাণিককে। ধৃত নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের দাদা নরেন কান্দুর (Naren Kandu) ব্যবসার অংশীদার। ওই ব্যবসায়ীর ধাবায় বসেই খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। সিটের তরফে সত্যবানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। যদিও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।


এর আগে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে ধৃত আর এক ব্যবসায়ী আসিক খানের মেয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ঝাড়গ্রামে তাঁর মেয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সূত্রের খবর, বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৫২ হাজার টাকা। খুনের সুপারি বাবদ যে টাকা লেনদেন হয়েছে, ওই টাকা তারই ভাগ বলে দাবি সিবিআইয়ের।


আরও পড়ুন: বগটুই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ১, পেশায় টোটোচালক এবার সিবিআইয়ের জালে