ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, অর্ণব মুখোপাধ্যায় , অরিত্রিক ভট্টাচার্য , কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : লোকসভা ভোটের ( Loksabha Poll )  আগে তৃণমূল বিধায়ক পদ ছাড়লেন তাপস রায় ( Tapas Roy ) । তৃণমূল কংগ্রেসও ( TMC ) ছাড়লেন তাপস রায়। পয়লা মার্চেই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দেন তাপস রায়। আর যাই হোক, তৃণমূল কংগ্রেস আমার জন্য নয়, মন্তব্য তাপস রায়ের। 'ইডি অভিযানের পর দলের তরফে কেউ ফোন করেননি'ক্ষোভ উগরে বললেন তাপস। 'শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে এমন কথাও মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমায় কিছু বলেননি', বিধায়ক পদ ছেড়ে বললেন তাপস। 


সন্দেশখালি ও দুর্নীতি ইস্যুতে তিনি বিব্রত, ভারাক্রান্ত, জানালেন তাপস রায় ।   বাড়িতে ED-র হানার ৫২ দিন পরেও খোঁজ নেননি মুখ্যমন্ত্রী, হতাশা ব্যক্ত করলেন সাংবাদিক বৈঠকে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ED-র অভিযান নিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছেন কিন্তু তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযান নিয়ে একটি কথাও বলেননি, বললেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ১২ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে ED-র হানা নিয়ে উল্লাস করেছিলেন দলের একাংশ। সেই সময় ফোন করেও খোঁজ নেয়নি দল। ২৪-২৫ বছর ধরে তৃণমূলে থাকার পরেও এই ব্যবহারে তিনি ভারাক্রান্ত বলে জানান তাপস রায়।


এদিকে,  তাপস রায়ের বাড়িতে যখন কুণাল ঘোষ দেখা করতে গিয়েছেন, তখনই তাঁর কাছে এসে পৌঁছয় শোকজ-বার্তা। সেই প্রসঙ্গ টেনেই তাপস রায় বলেন, দলে যাদের সাসপেনশন হওয়া উচিত, শোকজ, বহিষ্কার করা উচিত, তারাই বহাল তবিয়তে রয়েছে ! 


সম্প্রতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয়ে সরব হন তাপস রায়। তাপস রায়কে একটা সময় উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।  কিন্তু মাত্র আট মাস পর তাঁকে সরিয়ে ফের দায়িত্ব দেওয়া হয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২০২১ সালে তৃতীয়বার বরানগর থেকে জয়ী হওয়া সত্ত্বেও তাপসকে মন্ত্রী করেননি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। শেষমেষ ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটল তাঁর বাড়িতে ইডি অভিযানের পর দলকে পাশে না পাওয়ায়, নেত্রী মুখ না খোলায়। 


এবার কি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? তাপস রায় সরাসরি এর উত্তর না দিলেও বাড়ছে জল্পনা। দলের সম্পর্কে একাধিক ক্ষোভের কথা বললেও এরপর তাঁর রাজনৈতিক জীবন কোন খাতে বইবে, তা নিয়ে কোনও ইঙ্গিত দেননি তাপস রায়। 


আরও পড়ুন, আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত, ভোটের ময়দানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়