কলকাতা: আজ জাতীয় নিরাপত্তা দিবস। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (National Safety Council Of India) ১৯৬৬ সালে এই দিনেই প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রম মন্ত্রক এই দিনটির সূচনা করেন। নিরাপত্তাকে এখানে বৃহত্তর অর্থে ধরা হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন পেশার মানুষ আমাদের নিরন্তর নিরাপদ রাখছেন। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে চিকিৎসক থেকে সুরক্ষার ক্ষেত্রে দেশের সৈন্যবাহিনীরা। জাতীয় সুরক্ষা দিবস বা জাতীয় নিরাপত্তা দিবসের সূচনা হয় ১৯৭২ সালে।


জাতীয় নিরাপত্তা দিবসের ভাবনা


চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ভাবনা ‘ফোকাস অন সেফটি লিডারশিপ ফর ইএসজি এক্সেলেন্স’। ইএসজি বলতে বোঝানো হয়েছে এনভারনমেন্ট বা পরিবেশ, সোশ্যাল বা সমাজ ও গর্ভন্যান্স বা রাষ্ট্র পরিচালনাকে। এই তিনটি ক্ষেত্রের নেতৃত্বকে আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে ন্য়াশনাল সেফটি কাউন্সিল। তবে দেশের সুরক্ষার একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে দেশের সেনাবাহিনী। কেমনভাবে তার যাত্রা শুরু ? ইতিহাসের নানা সময়ে কোন কোন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে ভারতের সেনা ? কয়েকটি বাছাই করা তথ্যের সন্ধান রইল এই প্রতিবেদনে।


ভারতীয় সেনার নানা দিক



  • বিশ্বের সব থেকে বড় স্বেচ্ছায় যুক্ত হওয়া সেনাদের নিয়ে তৈরি ভারতীয় সেনাবাহিনী। বর্তমানে এই বাহিনীর ১২ লাখ সেনা নানা ক্ষেত্রে সক্রিয় ও ৯ লাখ সেনা রিজার্ভে রয়েছে।

  • লাদাখের বেইলি ব্রিজ বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ব্রিজ। ১৯৮২ সালে এই ব্রিজ তৈরি করে ভারতীয় সেনা। সমুদ্রতল থেকে এর উচ্চতা ১৮,৭৩৯ ফুট। লম্বায় ব্রিজটি ৯৮ ফুট।

  • ২০২২ সালের গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনা। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পরেই ভারত। সেনাসংখ্যা, অর্থনৈতিক ক্ষমতা, অস্ত্রশস্ত্র ইত্যাদি বেশ কিছু দিক দেখে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়ে থাকে।

  • প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৩ লাখ ভারতীয় সেনাকে মিত্রপক্ষের হয়ে লড়াই করতে হয়েছিল। এর মধ্যে প্রায় ৭৪০০০ সেনা যুদ্ধে নিহত হন বা নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেই দিল্লিতে তৈরি করা হয়েছিল ইন্ডিয়া গেট।

  • সিয়াচেন হিমবাহ বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যুদ্ধক্ষেত্র। যা বর্তমানে ভারতীয় সেনার অধীনে রয়েছে। এর উচ্চতা ১৮,৮৭৫ ফুট। ২০০৪ সালে এখানে নিযুক্ত সেনাবাহিনীর জন্য ভারত সরকারকে প্রতি মাসে ২০ লাখ ডলার ব্য়য় করতে হয়েছিল।


এছাড়াও, আরও নানা কারণে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে বিশিষ্ট ভারতীয় সেনাবাহিনী। যাদের নিরন্তর জেগে থাকার কারণে দেশ সব দিক থেকে সুরক্ষিত।


আরও পড়ুন - World Hearing Day 2024: শিশুর বধিরতার আশঙ্কা আগাম জানান দেয় OAE টেস্ট, কখন করাবেন ?