বীরভূম: তারাপীঠের (Tarapith) মাহাত্ম্য ছড়িয়ে রয়েছে দেশে ও বিদেশে। প্রতিদিনই ভক্তদের সমাগম লেগেই আছে মন্দিরে। নিত্য পুজোপাঠ তো হয়েই থাকে, তাছাড়াও শনি-মঙ্গলবার এবং বিশেষ দিনগুলিতে বিশেষ পুজো অর্চনা হয়ে থাকে এখানে। শত বছরের পুরনো বিশ্বাস, এই মন্দিরে প্রার্থনা করে কোনও ভক্ত খালি হাতে ফেরে না। তারাপীঠের মন্দিরে (Tarapith Temple) সারা বছরই জনসমাগম হয়। 


জানা গিয়েছে, মন্দিরের গর্ভগৃহের সংস্কারের জন্য স্থানান্তরিত হল তারাপীঠের তারা মায়ের মূর্তি। তারাপীঠের ভৈরবের মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হল আদি মূর্তি সহ তারা মায়ের মূর্তি। আগামী এক সপ্তাহ সেখানেই ভৈরবের মূর্তির পাশে থাকবে তারা মায়ের মূর্তি।                                                                        


মন্দির কমিটির তরফে খবর, গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কারের পাশাপাশি মন্দিরে রঙও করা হবে। ফলে স্থানান্তরিত করা হল তারা মায়ের মূর্তি। করোনাকালে গর্ভগৃহ সংস্কার না করা যায়নি। তাই এবার গর্ভগৃহ ও বেদি সংস্কার করা হচ্ছে। 


মহাপীঠ বলে পরিচিত এই মন্দির, হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধর্মস্থান। বলা হয়, তুমি যদি সৎ হও, তবে তুমি পৃথিবীর যেখানেই থাকো এবং যে ধর্মাচরণই করো না কেন, মা তারার আর্শীবাদ সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে এবং তোমার আশা পূরণে সহায়তা করবে। তোমার হৃদয় ও মনের যাবতীয় যন্ত্রণা তিনি দূর করবেন। 


আরও পড়ুন, 'আমি সমস্ত জীব সম্বন্ধে জানি, কিন্তু আমাকে কেউ জানে না', ঈশ্বর দর্শনের উপায় বলেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ


এছাড়াও এখানে রয়েছে সাধক বামাক্ষ্যাপার সমাধিমন্দির। জানা যায়, এই মন্দিরেই পুজো করতেন বামক্ষ্যাপা। মন্দির লাগোয়া শ্মশানক্ষেত্রে বাবা কৈলাসপতি নামে এক তান্ত্রিকের কাছে তন্ত্রসাধনা করতেন তিনি। মা তারার আরাধনা এবং পুজোতেই বামাক্ষ্যাপা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তারাপীঠ মন্দিরের কাছেই রয়েছে সেই আশ্রম। 


তারাপীঠ মন্দির নিয়ে নানা কথিত বিশ্বাস রয়েছে, আছে নানা কাহিনী। অনেকে বলেন এটি সতীপীঠ নয়, তা হল কঙ্কালীতলা। অনেকে বলে থাকেন, এখানে সতীর তৃতীয় নয়ন পতিত হয়েছিল। ঋষি বশিষ্ঠ প্রথম সেটি দেখে সতীকেই তারারূপে পুজো করেন।