কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: নিয়োগ-দুর্নীতির (Recruitment Scam) গেরোয় নিয়োগে নিয়ম বদল? নিয়োগ-দুর্নীতির মধ্যেই নিয়োগে ফিরল বাম (CPIM) আমলের নিয়ম।


প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের (Headmaster) প্যানেলে আর লাগবে না স্কুল শিক্ষা দফতরের (Education Deaprtment) অনুমোদন। এখন থেকে অনুমোদন দেবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকরাই। নিয়োগে প্রত্যাহার করা হল সরাসরি রাজ্যের 'হস্তক্ষেপ'। বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর।


এদিকে, এদিনই SSC পরীক্ষার দাবিতে ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে ধর্না-অবস্থান শুরু করল SSC, SLST, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের একতা মঞ্চ। আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৬-র পর আর SSC পরীক্ষা হয়নি। তাই নতুন করে SSC পরীক্ষা নিয়ে অবিলম্বে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের একতা মঞ্চ। 


অন্যদিকে, ‘পড়ুয়া না থাকলে সেই স্কুলে শিক্ষক ( School Teacher )  রেখে লাভ নেই।' বরং যে সব স্কুলে পড়ুয়া নেই সেই সমস্ত স্কুল তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court ) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ( Justice Biswajit Basu ) ।  সম্প্রতি  শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্যকে এমনই পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার আরেকটি মামলার প্রেক্ষিতে বিশ্বজিৎ বসু আরও বলেন ' অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কী লাভ ? অর্থের অপচয় হচ্ছে'। 


স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ( School Recruitment Scam ) অযোগ্য প্রার্থীদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার শিক্ষক বদলি সংক্রান্ত মামলাতেও কড়া হয়েছে আদালত। সোমবার এক মামলার শুনানিতে বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, 'রাজ্যে দশ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা হয়েছে, আর এদিকে চার লাখ কম ছাত্র এবার মাধ্যমিকে বসছে। এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কী লাভ ? অর্থের অপচয় হচ্ছে'  মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।         


আরও পড়ুন, 'ডিএ না দিলে সরকারি অফিসে তালা-চাবি দিন', মমতাকে 'জব্দ করার' দাওয়াই শুভেন্দুর


তিনি আরও বলেন, 'যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছের অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দিন। শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করুন, স্কুল শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। শিক্ষামন্ত্রীকে জানান, আইনে বদল আনুন' , স্কুল শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ বিচারপতির। 'নিজের অধিকারের এইচআরএ, সিএল, পিএল, সিসিএল চাইছেন, কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকারের কি হবে? প্রশ্ন বিচারপতি বসুর। 'একাধিক স্কুলে ৩০, ৩৫, ৫০ জন পড়ুয়া, কিন্তু দেখা যাচ্ছে ১০-১৫ জন শিক্ষক আছেন। সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে' , মন্তব্য বিচারপতির। 'এই সব স্কুল রেখে লাভ কি ? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন' স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে পরামর্শ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।