সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বরানগরে (Baranagar) লরির ধাক্কায় (Lorry Accident) মৃত্যু টেলি অভিনেত্রী (Telly Actress) সুচন্দ্রা দাশগুপ্ত (Suchandra Dasgupta)। শ্যুটিং সেরে অ্যাপ বাইকে (app bike) ফেরার পথে দুর্ঘটনা। লরির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।


বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনা, মৃত্যু জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রীর


টিভি সিরিয়ালের চেনা মুখ সুচন্দ্রা দাশগুপ্ত। আর পাঁচটা দিনের মতোই গতকাল রাতেও ফিরছিলেন শ্যুটিং সেরে। কে জানত, হঠাৎই ঘনিয়ে আসবে বিপদ!


শ্যুটিং সেরে অ্যাপ বাইকে চড়ে বাড়িতে ফিরছিলেন ওই অভিনেত্রী। তাঁর বাড়ি সোদপুরে। বরানগর থানার সামনে ঘোষপাড়া রোডে বেপরোয়া এক লরি বাইকের পিছনে এসে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিনেত্রী সুচন্দ্রা দাশগুপ্তর। ঘাতক লরির চালককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বরানগর থানার পুলিশ। 


ছোটপর্দার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'গৌরী এলো'তে সহ অভিনেত্রীর চরিত্রে অভিনয় করতেন সুচন্দ্রা। দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় বরানগর ঘোষপাড়া এলাকায়।


প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় ইউটিউবার অমিত মণ্ডলের (Amit Mondal)। হাঁটাচলার সামর্থ্য ছিল না। যদিও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি সেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাফল্য ছুঁয়ে দেখেও, নিজের পরিশ্রমের সুফল পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেননি ২২ বছরের তরুণ। বরং পথ দুর্ঘটনায় বেঘোরে মৃত্য়ু হয় ভিন্ন ভাবে সক্ষম ইউটিউব তারকা অমিত মণ্ডলের।                          


আরও পড়ুন: Aloe Vera: গরমের মরসুমে ত্বকের যত্নে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা, সমাধান পাবেন এইসব সমস্যা থেকে


গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অমিত। গুরুতর জখম হন তিনি (Youtuber Dies)। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেই রাতেই কলকাতা আনা হয় তাঁকে। ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা অমিত, সবে সাফল্যের স্বাদ পেয়েছিলেন যিনি, মাঝপথে সব ছেড়ে চলে যেতে হয় তাঁকে। এসএসকেএম হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর।            


পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের মুন্সিরহাট এলাকায় দুর্ঘটনার প্রকোপে পড়েন অমিত। দুর্ঘটনায় পড়ে একটি স্কুটার। তাতে অমিত-সহ মোট তিন জন গুরুতর জখম হন। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁদের। কিন্তু অমিতের শারীরিক অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাই তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের স্থানান্তরিত করা হয়।