অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: সন্ধ্যার অন্ধকারে রাস্তার উপর বিশালাকার পাইথনের (Python Spotted On Road) দেখা মেলায় তীব্র আলোড়ন দাঁতন (Dantan) থানার পলাশিয়া গ্রামের জেলেপাড়া এলাকায়। দৈত্যাকার সাপটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পরে বন দফতরে খবর দেওয়া হলে তারাই পাইথনটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সাপটি সুস্থ রয়েছে, জানিয়েছেন বেলদার রেঞ্জ অফিসার তোহিদ আনসারি। তবে এভাবে বিশাল পাইথনকে রাস্তা পেরোতে দেখে এখনও আতঙ্কের মেজাজ কাটেনি এলাকায়। 


কী ঘটেছিল?
সোমবার সন্ধ্যার ঘটনা। স্থানীয়দের কয়েক জন জানাচ্ছেন, দাঁতন থানার পলাশিয়া গ্রামের জেলেপাড়া এলাকায় রাস্তার উপরে এক বিশালাকার পাইথন দেখে ভয় পেয়ে যান। তাঁদের চিৎকারে লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা জড়ো হন। তাঁরা দেখেন, একটি দৈত্যাকার পাইথন ধীরে ধীরে রাস্তা পার হচ্ছে। ১২ ফুটের বেশি লম্বা এবং ৩০ কিলোগ্রামেরও বেশি ওজনের সাপটি দেখে ভিড় বাড়তে থাকে। বন দফতরে খবর দেওয়া হলে তারা পাইথনটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। গ্রামবাসীদের ধারণা, সুবর্ণরেখা নদীর জল বাড়ার কারণে নদী তীরবর্তী জঙ্গল থেকে সাপটি ভেসে চলে এসেছিল। তবে আপাতত প্রাণীটি  সুস্থ।
বেলদার রেঞ্জ অফিসার তোহিদ আনসারি, গত কাল অর্থাৎ রাত ন'টা নাগাদ দাঁতন থেকে তাঁর কাছে ফোন এসেছিল। ফোনে জানানো হয়, একটি বিশালাকার পাইথন রাস্তার উপরে শুয়ে রয়েছে। খবর পেতেই বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে পাইথনটিকে নিয়ে এসে অবজারভেশনে রাখেন। তাঁদেরও প্রাথমিকভাবে অনুমান, অতিবৃষ্টির কারণে সুবর্ণরেখা নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় জঙ্গল থেকে এই পাইথনটি বেরিয়ে এসেছে। সেটিকে হিজলি রেঞ্জ অফিসে পাঠানো হবে। পরে তাকে  ইকো পার্কে ছেড়ে দেওয়া হবে, এমনই শোনা যায়। এর আগেও এই ধরনের খবর রাজ্য়ের নানা প্রান্তে শোনা গিয়েছে। গত বছর জুলাই মাসেই যেমন ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার কুঠিঘাটে খানিক এমনই একটি ঘটনা ঘটে।


বার বার নজরে...
বাগানের চার দিক মোটা জাল দিয়ে ঘেরা। সেখানেই আটকে গিয়েছিল বিশালাকার দৈত্যাকার পাইথন সাপ। কিন্তু না হলে কী হত ভেবে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এসেছিল নায়েক পরিবারের। বাড়ির বাগানে কী যেন নড়াচড়া করছিল, দেখে এগিয়ে যেতেই কাছে যেতেই নজরে এসেছিল বিশাল এক পাইথন। অন্তত সাত ফুট লম্বা অজগরটি কী ভাবে কুঠিঘাটের ওই বসতি এলাকায় চলে এসেছিল,সেটা অবশ্য ধাঁধা। বাগানের দিক থেকে সন্দেহজনক নড়াচড়া টের পেয়ে কাছ যেতেই সাপ দেখতে পান দীপক নায়েক পরিবারের এক সদস্য। তড়িঘড়ি পাড়াপড়শিদের খবর দেন তিনি। দ্রুত খবর যায় বন দফতরে। অবশ্য সেখান থেকে কোনও সাহায্য পৌঁছনোর আগেই অজগর দেখতে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে যায় দীপক নায়েকের বাড়ির সামনে। তার মধ্যে থেকেই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। সেটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় ছেড়ে দেওয়া হয়। চিড়িয়াখানার বিশালাকার নতুন অতিথিকে নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সকলের মধ্যে। 


আরও পড়ুন:চতুর্ভুজেই আগলে রাখেন সন্তানদের, কাটা চালিতে দেবীর আরাধনার প্রস্তুতি শুরু চাঁদপাড়ায়