নয়াদিল্লি : ফের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court )  দ্বারস্থ হলেন, প্রাথমিকে ( Primary Teachers ) চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জন প্রার্থী। রাজ্য সরকার যাতে তাদের চাকরিতে যোগদান করতে দেয় এবং অবিলম্বে বেতন চালু করে, সেই আবেদন জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গেছেন তাঁরা। 



কেন ফের আদালতে 
অবিলম্বে বেতন চালু করার আবেদন করেছেন ওই ২৬৯ জন। দ্রুত শুনানি চেয়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তাঁরা। 


যাঁরা টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়িয়েছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? CBI-কে প্রশ্ন আদালতের       


 


বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর
এ বিষয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মামলাকারীরা। ২০১৪’র টেটে ( TET 2014 ) , দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকায় থাকা যে, ২৬৯ জনকে বেআইনিভাবে বাড়তি ১ নম্বর করে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের সকলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল টেটে  ওই ২৬৯ জন চাকরিপ্রাপককে অতিরিক্ত এক নম্বর কেন দেওয়া হল, তাক কোনও কারণ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ স্পষ্ট  দিতে পারেনি। এই বিষয়ে কোনও প্রামাণ্য নথিও দেওয়া হয়নি। এরপরেই ২৬৯ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। 


 ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ
এরপর ১৮ অক্টোবর, সুপ্রিম কোর্ট এই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পাশাপাশি এই ২৬৯ জনকে আবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের কাছে ফেরত পাঠায় সর্বোচ্চ আদালত। মঙ্গলবারই ২৬৯ জনকে কলকাতা হাইকোর্টের মামলায় পার্টি করার জন্য, তথ্য চেয়ে পর্ষদকে চিঠি পাঠান মামলাকারীর আইনজীবীরা। তারপর বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন চাকরি হারানো ২৬৯ জন।


আরও পড়ুন


Horoscope Today, November 3: নারীর পরামর্শে সাফল্য বৃষর, অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ করতে হবে কোন রাশিকে? 

অন্যদিকে, বয়সসীমা উত্তীর্ণ এক চাকরিপ্রার্থীর সুযোগ মিলল TET-এর ইন্টারভিউতে বসার! টেটে নিয়োগে বঞ্চনার অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, চাকরিপ্রার্থী নেফাউর শেখ। আদালতের রায়ে মুখে হাসি ফুটেছে নেফাউরের। নেফাউর শেখের দাবি, ২০১৪-য় TET দিয়েছিলেন।  কিন্তু পাস করতে পারেননি। পরে জানতে পারেন, ৬টি প্রশ্ন ভুল এসেছিল। এরপর, ৬টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে বলে, ২০১৬ সালে, আদালতে মামলা করেন তিনি। মুর্শিদাবাদের এই চাকরিপ্রার্থীর দাবি, অতিরিক্ত ৬ নম্বর পেয়ে TET-এ পাস করেন। ২০২১ সালে TET-এর ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হলেও, ততদিনে বয়স ৪০ পেরিয়ে গেছে। ফলে, ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পারেননি নেফাউর। এরপরই, মামলা করে তিনি দাবি করেন, পর্ষদের ভুলের জন্য বঞ্চনার শিকার হয়েছেন।