কলকাতা : ৫০ হাজার শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে পথে টেট উত্তীর্ণরা। ২০২২-এর টেট উত্তীর্ণদের আচমকা বিধানসভা অভিযান ঘিরে রাজপথে উত্তেজনা ছড়াল। পুলিশের সঙ্গে বচসা এবং ধস্তাধস্তি বেধে যায়। পুলিশকে কখনও কাকুতিমিনতি করতে দেখা যায় তাঁদের, কখনও কান্নায় ভেঙে পড়েন। ধর্মতলা মেট্রো স্টেশন থেকে বেরিয়ে আচমকা বিধানসভা ভবনের দিকে দৌড় দেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের তাড়া করে পুলিশ। সেই সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় পুলিশের।

বিধানসভা অভিযানের পথে এক টেট উত্তীর্ণ বলেন, "বাধ্য হয়েছে রাস্তায় নেমেছি। অবিলম্বে ৫০ হাজার শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ চাই। দীর্ঘ তিন বছর টেট পাস করে বসে আছি। মুখ্যমন্ত্রী কোনও পদক্ষেপ নেননি। বাধ্য হয়ে রাজপথে নেমেছি। আমরা বিধানসভায় যাচ্ছি। পুলিশ আটকালেও থামবে না। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি দেখেছেন আপনারা। স্বজন-পোষণ, দুর্নীতি আর বেকারত্ব, এই রাজ্যে প্রাসঙ্গিক।" অপর এক বিক্ষোভকারী সুর চড়িয়ে বলেন, "এই যন্ত্রণা আর নিতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রীকে এটাই বলব, নেপাল দেখে শিক্ষা নিন। ৫০ হাজার নিয়োগ দিন। যুবসমাজ রেগে গেলে আপনি কিন্তু রাজ্যকে আর বাঁচাতে পারবেন না।"

ঘটনা নিয়ে নিশানা শানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "ওঁরা বিধানসভার গেটে গিয়েছিলেন। খুব খারাপ আচরণ করেছে। পুলিশ অত্যাচার করেছে। আমি এর নিন্দা করি এবং প্রতিবাদ করি। আমি বিধানসভায় থাকলে আমি ওঁদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশের কাছে প্রতিবাদ করতাম।"

যদিও এ প্রসঙ্গে রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "এটার কোনও মানে নেই। যেখানে পর্ষদ সভাপতি কিছুদিন আগে বলেছেন, খুব শীঘ্র যেখানে ভ্যাকেন্সি লিস্ট পর্ষদ ঘোষণা করতে যাচ্ছে...। আর এক-দু'দিনের মধ্যেই হয়ত এটা বেরোবে। এর পিছনে কী উদ্দেশ্য আছে আমি জানি না। পর্ষদ সভাপতি নিজে কয়েকদিন আগে এটা নিয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু, ভ্যাকেন্সি কত আছে তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি। খুব পরিষ্কার। ডিপিএসসি থেকে রিপোর্ট আসার জন্য অপেক্ষা করছি। ডিপিএসসি যেখানে এখনও রিপোর্ট দেয়নি, সেখানে ৫০-৫১ হাজার বলে খাইয়ে দেওয়া হচ্ছে এটার কোনও মানে নেই। আমি আবার পরীক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করব আমাদের জেলা স্তরে ভ্যাকেন্সি নির্ণয়ের কাজ প্রায় শেষ। খুব শীঘ্র এটা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। এই ধরনের ২০২২-এর প্রাথমিকে যাঁরা আন্দোলন করছেন, এই আন্দোলনের এখন আর কোনও যৌক্তিকতা আছে বলে আমার অন্তত মনে হচ্ছে না।"