অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আন্দোলনে অনড় চাকরিপ্রার্থীরা (TET Agitation)। পাল্টা এলাকা খালি করার হুঁশিয়ারি দেয় পুলিশ (Police)। দ্রুত এলাকা খালি করতে আন্দোলনকারীদের ডেডলাইন দেয় পুলিশ। তারপরই চাকরিপ্রার্থীদের চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।


মধ্যরাতে কুরুক্ষেত্র করুণাময়ী


৮৪ ঘণ্টার আন্দোলন ১৫ মিনিটে তুলে দিল পুলিশ। তৈরি হয়েছে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি। ২০১৪-এর টেট প্রার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হল। কান্নায় ভেঙে পড়লেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন তুলতে বলপ্রয়োগ করা হয়। জোর করে ধর্না তুলে দেওয়া হয় পুলিশের তরফে। একের পর এক অনশনকারীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হল।


আসরে নেমেছে পুলিশ ও র‌্যাফ। নিয়ে আসা হয়েছে তিনটি বাস। করুণাময়ী থেকে সেই বাসে আন্দোলনকারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। 'আমরা কি চোর?' কান্নায় ভেঙে পড়লেন আন্দোলনকারীরা।


পুলিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গায়ের জোর প্রয়োগ করা হয়েছে। অনশনকারীদের আটক করা হয়েছে না গ্রেফতার তাও স্পষ্ট জানানো হয়নি। একজন মহিলা আন্দোলনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মিনিট কয়েক আগেও যেখানে আন্দোলন চলছিল সেই জায়গা এখন পুরোপুরি ফাঁকা।


আরও পড়ুন: Sukanta Majumdar: ‘কাজের সময় পাওয়া যায় না, শুধু বড় বড় কথা’, সৌমিত্রর ‘অযোগ্য’ মন্তব্যের জবাব সুকান্তর


ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের কথায়, 'পুলিশ সম্পূর্ণ নীতি বিরুদ্ধভাবে এই কাজ করছে। আন্দোলনকারীদের ওপর অনৈতিক কাজ করেছে পুলিশ। দু'জনকে ইতিমধ্যেই অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়েছে। আরও অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।' পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, 'বেআইনি জমায়েত (Unlawful Assembly) ছিল। আপাতত তাঁদের আটক করা হয়েছে।'


মূলত, হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই করুণাময়ীতে পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে। আন্দোলনকারীদের দ্রুত এলাকা ছাড়তে মাইকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরই বলপূর্বক আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। চাকরির দাবিতে আন্দোলনে অনড় ছিলেন ’১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। নিজেদের দাবিতে অনড় ছিলেন ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ নন-ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা। 


রাত ১২ টার পর মহিলাদের বলপূর্বক টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ায় সরব একাধিক বিজেপি নেতৃত্বও। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অগ্নিমিত্রা পাল, সজল ঘোষ, প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল প্রমুখ। 'গোটা বাংলা স্তব্ধ করে দেব', হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতৃত্বের। 'বর্বরোচিত আক্রমণ পুলিশের', মন্তব্য কৌস্তভ বাগচীর। অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বামও।