কলকাতা : করুণাময়ীতে পুলিশি অভিযানের নিন্দায় এবার সরব হলেন পরিচালক অপর্ণা সেন (Aparna Sen)। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "কেন একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি হবে ? এই অনৈতিক আচরণের তীব্র নিন্দা করছি।"
মধ্যরাতে করুণাময়ীতে (Karunamoyee) বলপ্রয়োগ করে অনশনে ক্লান্ত বিক্ষোভকারীদের তুলে দিয়েছে পুলিশ। গভীর রাতে পুলিশি অভিযান ঘিরে করুণাময়ীতে কার্যত ধুন্ধুমার বেধে যায়। ৮৪ ঘণ্টার মাথায় চ্যাংদোলা করে টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনকারীদের তুলে দেওয়া হয়। ৬১ ঘণ্টার অনশন ভেঙে দেওয়া হয় ১৫ মিনিটেই !
১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থানও তুলে দেওয়া হয়। সল্টলেকে ১০ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে অবস্থান করছিলেন ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীরা। গতকাল রাত ২টোর সময় সেখানেও চলে পুলিশি অভিযান। কয়েকজনকে বুঝিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। বাকিদের টেনে হিঁচড়ে, চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তোলে পুলিশ। এরপর রাতেই তাঁদের নিয়ে এসে ধর্মতলা বাস টার্মিনাস, শিয়ালদা স্টেশন ও হাওড়া স্টেশনে ছেড়ে দেওয়া হয়। মহিলা আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি না ভেবে পুলিশ কীভাবে অত রাতে তাঁদের স্টেশনে, বাস টার্মিনাসে ছেড়ে দিল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ২০১৭’র চাকরিপ্রার্থীরা।
সরব অপর্ণা-
করুণাময়ীর ঘটনা নিয়ে সকাল থেকে একের পর বিজেপি নেতা রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়েছেন। এবার সরব হলেন অপর্ণা সেনও। তিনি বলেন, আমার বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি করার আবেদন হাইকোর্টে করা হয়েছিল-ই বা কেন ? শান্তিপূর্ণ আন্দোলনটা তাঁদের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার।
এদিকে করুণাময়ীতে পুলিশি অভিযানের পর থেকে নেতৃত্বস্থানীয় ৩ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না বলে দাবি করেন আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ওই তিনজন- অচিন্ত্য সামন্ত, অর্ণব ঘোষ ও অচিন্ত্য ধাড়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তাঁদের রাখা হয়েছে বিধাননগর পূর্ব থানায়। এছাড়া প্রায় ১৫০ জনকে প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়। তবে কোনও মহিলা আন্দোলনকারীরকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। মহিলাদের ধর্মতলা, শিয়ালদা ও হাওড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁদের প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাঁদের পরে থানা থেকেই জামিন দেওয়া হয়।
করুণাময়ীকাণ্ডের প্রতিবাদে SFI-DYFI এর প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। আজ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল SFI-DYFI। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই জড়ো হতে শুরু করেন বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীরা। পুলিশও শুরু করে ধরপাকড়। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের ছেলে সপ্তর্ষি দেবকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথম দফায় পুলিশ জানিয়েছে, ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ; 'হিটলারের বাহিনীর মতো অভিযান, নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ', ট্যুইটে ক্ষোভ অমিত মালব্যের