কলকাতা: রাজ্যপালের (Governor Jagdeep Dhankhar) বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য (University Chancellor) করতে চেয়ে বিধানসভায় (Assembly) বিল পাস হল। বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮৩টি ভোট এবং বিপক্ষে ভোট পড়ল ৪০টি। বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল পাস হয়েছে। এবার রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য যাবে সংশোধনী বিল। রাজ্যপাল সই করলে বিল পরিণত হবে আইনে। মন্ত্রিসভা সূত্রে খবর, রাজ্যপাল সই না করলে অর্ডিন্যান্স জারি করা হতে পারে। 


‘বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী হলে, রাজ্যের ক্ষেত্রে আপত্তি কীসের?’ গুজরাতের (Gujrat) প্রসঙ্গ তুলে বিলের পক্ষে সওয়াল করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।মুখ্যমন্ত্রীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কেন আচার্য, প্রশ্ন বিরোধীদের। 


শিক্ষা সহ অন্যান্য দফতরের অধীনস্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ে (University Chancellor), রাজ্যপালের (Jagdeep Dhankhar) বদলে আচার্যর আসনে মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) বসানোর প্রস্তাবে আগেই সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ বিধানসভায় (West Bengal Assembly) পেশ হল রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল। ঘটনার পর থেকেই সমালোচনায় সরব বিরোধী থেকে বিদ্বজ্জনেরা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।


গতকাল এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেছিলেন, 'বিল আসছে। বিরোধীরা ভেসে থাকার জন্য এই সব বলছে। বিজোপি বিরোধী দল হলেও কী বলল তাতে কিছু এসে যায় না। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের দ্বারা নির্বাচিত. রাজ্যপাল পলিটিক্যালি। রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদ হলে মুখ্যমন্ত্রীও সাংবিধানিক পদ। তাই কোনও সমস্যা নেই।'


শুধু বিরোধীরা নয়, এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়ে শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিদ্বজ্জনেদের একাংশও। তাঁদের মতে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রী নন, আচার্য পদে দায়িত্ব দেওয়া উচিত বিশিষ্ট কোনও শিক্ষাবিদকে। 


নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেনের কথায়, 'রাজ্যপাল যে কাজের কাজ করছেন তা নয়। বিজেপির এজেন্ট। কিন্তু তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী বসা মানে একই হল। শিরদাঁড়া শক্ত এমন কোনও শিক্ষাবিদকে ওই আসনে বসালে গোটা দেশের কাছে একটা বার্তা যেত।' তবে তাপসের মতে, 'যাঁরা এসব কথা বলছেন, তাঁরা একটি দলের মনোভাবাপন্ন। তাঁরা শিক্ষার যে হাল করে ছেড়েছেন, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসানোই শ্রেয় বলে মনে হচ্ছে।'


আরও পড়ুন: Calcutta High Court: ‘যা ঘটেছে, তা ঘটা উচিত হয়নি, রাজ্য চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে’, মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের