মাঝ সমুদ্রে ভয়াবহ বিপত্তি (Accident)। মাছ ধরার সময়, পাটাতন ভেঙে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেল ট্রলার। উদ্ধার ৪ মৎস্যজীবী। গতকাল ঘটনাটি ঘটে সাগর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের জলদা খাঁড়িতে। সমুদ্রে মাছ ধরার সময় পাটাতন ভেঙে ডুবে যায় মা অন্নপূর্ণা নামে ওই ট্রলার। আশপাশের ট্রলার থেকে অন্য মৎস্যজীবীরা এসে ডুবন্ত ট্রলারের ৪ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। ওই মৎস্যজীবীরা সাগরের মহিষামারি এলাকার বাসিন্দা।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে দুর্ঘটনা (Accident)। হুগলি নদীতে (Hooghly River) ডুবে গেল বাংলাদেশের (Bangladesh) পণ্যবাহী বার্জ (Barge)। গতকাল রাতে হলদিয়া থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছিল বার্জটি। চড়ায় ধাক্কা মেরে সেটি হুগলি নদীতে ডুবতে শুরু করে। বার্জের নাবিকদের  চিত্কার শুনে সাগর থানায় (Sagar Police Station) খবর দেন স্থানীয় মত্স্যজীবীরা (Fishermen)। পরে সাগর থানার পুলিশ ২টি ট্রলার (Trawler) নিয়ে নাবিকদের উদ্ধার করে। 


রাতে চড়ায় ধাক্কা লেগে বিপত্তি। মাঝ নদীতে বার্জ ডুবি। কোনওরকমে রক্ষা ১৩ জন নাবিকের (Sailor)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘোড়ামাড়া দ্বীপের কাছে হুগলি নদীতে বুধবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ MV বাংলার শান্তি নামে বাংলাদেশের এই পণ্যবাহী বার্জটি ফ্লাই অ্যাশ নিয়ে হলদিয়া (Haldia) থেকে বাংলাদেশ যাচ্ছিল। 


হঠাৎই হুগলি নদীতে ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে সেটি চড়ায় ধাক্কা মেরে ডুবতে শুরু করে।  মাঝি মাল্লারা আতঙ্কে চিত্‍কার করতে থাকেন। আশপাশের নৌকার মত্‍স্যজীবীরা বিপদ বুঝে খবর দেন সাগর থানায়। এরপর সাগর থানার পুলিশ ২টি ট্রলার নিয়ে গিয়ে বার্জের ১৩ জন নাবিককেই উদ্ধার করেন। সাগর থানায় ১৩ জন নাবিককে নিয়ে যাওয়া হয়। বার্জটি ডুবে গেছে নদীতে। পুলিশের অনুমান, রাতে দিক ঠিক করতে না পেরে সম্ভবত বার্জটি চরায় ধাক্কা মেরে ডুবে যায়।


অন্যদিকে আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করায়, বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) আটক বাংলাদেশি ট্রলার। গ্রেফতার ১৫ জন বাংলাদেশি মত্স্যজীবী (Fisherman)। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল বঙ্গোপসাগরে আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়ে দুটি বাংলাদেশি ট্রলার (Trawler of Bangladesh)। সেইসময় বঙ্গোপসাগরে টহল দিচ্ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাড়া করে ট্রলারদুটিকে আটক করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী (Indian Coast Guard)। রাতে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার (Frazerganj Coastal Police Station) পুলিশ ১৫ জন বাংলাদেশি মত্স্যজীবীকে গ্রেফতার করে। ধৃত মত্স্যজীবীরা বাংলাদেশের পটুয়াখালি জেলার বাসিন্দা। ধৃতদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।