সৌভিক মজুমদার, কলতকাতা: উলুবেড়িয়ার পঞ্চায়েতের নথি বিকৃত করার মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিন্হার নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত গেল হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চেই। সিঙ্গল বেঞ্চকে বিস্তারিতভাবে এসডিও-র বক্তব্য শোনার পরামর্শ ডিভিশন বেঞ্চের । এসডিও-র বক্তব্য শুনে তার পরেই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে সিঙ্গল বেঞ্চ, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের । বিচারপতি অমৃতা সিন্হার () নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার এসডিও শমীক ঘোষ। উলুবেড়িয়ার বিডিও-এসডিও-কে সাসপেন্ড করার জন্য রাজ্যকে সুপারিশ করেন বিচারপতি সিন্হা। 


মনোনয়ন বিকৃতির মামলায় উলুবেড়িয়ার BDO-র পর এবার ধাক্কা খেলেন SDO। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ চ্যালেঞ্জের মামলায় কোনও স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত পাঠানো হল সিঙ্গল বেঞ্চেই। 


সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিকৃতির মামলায় বিডিও-র পর এবার  ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেলেন উলুবেড়িয়ার SDO শমীককুমার ঘোষ-ও। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মামলা ফেরত গেল বিচারপতি অমৃতা সিন্হার এজলাসে।


হাওড়ার দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে, উলুবেড়িয়া ১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-র বিরুদ্ধে। এরপর বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে, জাতি শংসাপত্র বিভাগের অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর কৃপাসিন্ধু সামুই, লুবেড়িয়ার এসডিও শমীককুমার ঘোষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। 


ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিভাগীয় তদন্ত শুরু এবং সাসপেন্ড করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলেন বিচারপতি। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উলুবেড়িয়ার এসডিও। এদিন সেই মামলার শুনানিতে SDO-র আইনজীবী বলেন, মনোনয়ন গ্রহণ বা বাতিল করার সঙ্গে SDO-র কোনও সম্পর্ক নেই। এই কাজ BDO বা রিটার্নিং অফিসারের।


একথা শুনে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, জাতিগত শংসাপত্র সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। কিন্তু SDO কিছুই করেননি। তারপর হঠাৎ করেই মামলাকারী কাশ্মীরা খানের শংসাপত্র নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ শুরু করলেন।


উত্তরে SDO-র আইনজীবী জানান, জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া নিয়ে অভিযোগ করা হচ্ছে। জাতিগত শংসাপত্র থেকে বিরত রাখা হোক। কোন অসুবিধা নেই। শেষ দু'বছরে প্রায় দেড় লক্ষ জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। কোনও অভিযোগ নেই। সাসপেন্ড করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে?


রাজ্য সরকারের আইনজীবী আদালতে জানান, SDO-কে কার্যভার হস্তান্তরের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং SDO কার্যভার হস্তান্তর করেও দিয়েছেন। এরপরই মামলাটিকে ফের সিঙ্গল বেঞ্চে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। বিস্তারিতভাবে SDO র বক্তব্য শোনার পরামর্শ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতির নির্দেশ, SDO-র পুরো বক্তব্য শুনে তারপরই চূড়ান্ত নির্দেশ দেবে আদালত।