কলকাতা: বিশ্বভারতীর ফলকে নেই কবিগুরুর নাম, তা নিয়ে অব্য়াহত তরজা প্রতিবাদে ফের সরব মুখ্যমন্ত্রী। 'বিশ্বের হেরিটেজ শান্তিনিতেকন গড়ে তুলেছিলেন কবিগুরু। কিন্তু বিশ্বভারতীর ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম নেই, অথচ উপাচার্যের নাম রয়েছে!' অবিলম্বে ফলক সরিয়ে ফেলা উচিত কেন্দ্রের, এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর। আজও বিশ্বভারতী ক্য়াম্পাসের বাইরে কবিগুরু মার্কেটের সামনে অবস্থানে তৃণমূল।

  






বিশ্বভারতীর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ফলকে নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tegore) নাম। আর এনিয়ে এর আগেও কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। শুক্রবারের সকালের মধ্যে ফলক পরিবর্তন না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। 


মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বলেন, যদি কাল সকালের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না লেখা হয়, তাহলে আমাদের ওখানের লোকেরা সকাল ১০ টা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন শুরু করবে।


শুধু বাংলা ও বাঙালিই নয়, গোটা দেশের গর্ব শান্তিনিকেতন।  বিশ্বকবির অমর সৃষ্টিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের সম্মান দিয়েছে ইউনেসকো। তারই শ্বেত-ফলকে ফের লেগেছে বিতর্কের কালি আর রাজনীতির রং! বাঙালির প্রাণের কবি, বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরই নাম নেই এই ফলকে! আছেন কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী!


আর এবার এই নিয়ে, কার্যত হুঁশিয়ারির সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। ফলকে রবিঠাকুরের নাম লিখতে 'ডেডলাইন' বেঁধে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এই নিয়ে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারির পর, শান্তিনিকেতনের কবিগুরু মার্কেটের সামনে মঞ্চ তৈরি করে  ধর্নায়ও বসে তৃণমূল।


শুক্রবার এখানেই ধর্নায় বসেন বোলপুরের (Bolpur) তৃণমূল বিধায়ক সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।  কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। আর সেই প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষের নামই নেই ফলকে!স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের মধ্য়েও। 


আরও পড়ুন: South 24 Parganas News: লক্ষ্মী পুজোর দিনেই অঘটন, পুকুরে স্নানে নেমে মৃত্যু ২ নাবালিকার