কলকাতা: পুজোর মুখে একসপ্তাহ ধরে ভোগান্তির পর, গতকালই প্রত্যাহার করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী বাস কর্মীদের কর্মবিরতি। দুর্গাপুর ডিপো থেকে শুরু হয়েছে বাস চলাচল। গতকাল সন্ধেয় প্রথমে পুরীগামী সরকারি বাস ছাড়ে। সকাল থেকে কলকাতা-সহ অন্য জেলার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে একের পর এক বাস। দুর্গাপুর(Durgapur) ডিপোয় কাজে যোগ দিয়েছেন ১৯৮ জন অস্থায়ী বাস কর্মী। বাঁকুড়া (Bankura) ডিপোতেও অচলাবস্থা কেটেছে। শুরু হয়েছে বাস চলাচল। ডিপো সূত্রে খবর, আগের মতো প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে ৩০টি বাস চলবে। কাজে যোগ দিয়েছেন অধিকাংশ অস্থায়ী পরিবহণ কর্মী। 


এক সপ্তাহ ধরে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির পর, অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেন SBSTC’র অস্থায়ী কর্মীরা। মঙ্গলবার সন্ধেয় এই ঘোষণার পর, কিছু বাস গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। কিন্তু, পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে কতদিনে? যাত্রীদের প্রশ্ন সেটাই।


সাত, সাতটাদিন ধরে যাত্রীদের চূড়ান্ত ভোগান্তির পর, অবশেষে উঠল SBSTC’র অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতি। পুজোর মুখে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন হাজার হাজার যাত্রী। পুজোর মুখে অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতিতে, মুখ থুবড়ে পড়েছিল, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একাধিক রুটের পরিষেবা। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় হাহাকার পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। 


অনেক জায়গায় কর্মবিরতি চলে, তৃণমূলেরই শ্রমিক সংগঠন INTTUC’র পতাকা ও ব্যানার নিয়ে। সোমবার আন্দোলনকারীদের কিছু দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এরপর মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ছ’টায় দুর্গাপুরে SBSTC’র সদর দফতরে, আন্দোলনকারীরা কর্মবিরতি তোলার কথা ঘোষণা করেন। কর্মবিরতি উঠে যাওয়ার পর, মঙ্গলবার রাতেই দুর্গাপুর থেকে পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় একটি বাস। 


এখন কর্মবিরতি প্রত্যাহারের পর যাত্রীদের প্রশ্ন পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে? প্রত্যেক অস্থায়ী কর্মীর ২৬ দিনের অ্যাটেন্ডেন্স, সমকাজে সমবেতন, সবেতন ছুটি মঞ্জুর, ছাঁটাই কর্মীদের পুনর্নিয়োগ, বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির মতো দাবি নিয়ে কর্মবিরতি চালাচ্ছিলেন SBSTC’র অস্থায়ী কর্মীরা। দিঘা থেকে দুর্গাপুর হয়ে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল প্রায় রাজ্যজুড়ে। সাতদিন পর তা উঠলেও, এতদিন বন্ধ থাকা পরিষেবা কি সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হবে? বুধবার সকাল থেকেই কি সমস্ত বাস চলবে? আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে এক সপ্তাহ ধরে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।


আরও পড়ুন: Forensic Recruitment: শূন্যপদে নিয়োগ হয়নি কেন, আদালতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য