রুমা পাল ও পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: প্লাস্টিকের প্যাকেট (Plastic Packet) বা ক্যারিব্যাগে (carrybag) কত মাইক্রন (micron) পুরু হতে হবে, তার মাপ নির্দিষ্ট করা আছে। তা সত্ত্বেও পরিবেশ দিবসে (World Environment Day) দেখা গেল, অনেক দোকানেই বিধি মানা হচ্ছে না। কলকাতার পুলিশ কমিশনার থেকে তৃণমূলের সাংসদ-অভিনেতা, সচেতনার বার্তা দিলেও তাতে আম জনতার হুঁশ ফিরছে কই?


প্লাস্টিক ব্যবহারে নেই নিয়ন্ত্রণ!


প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ নির্দেশিকা জারি করেছে, আগামী ১ জুলাই থেকে ৭৫ মাইক্রনের নীচে সমস্ত প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, র‍্যাপার, ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। পরিবেশবিদ সুদীপ্ত ভটাচার্যকে নিয়ে কতটা পুরু প্লাস্টিক ব্যবহার করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হয়। এ নিয়ে সচেতনতা কি আদৌ রয়েছে? দোকান থেকে ফল কিনে মেপে দেখা হল, প্লাস্টিক কতটা পুরু। 


এখন বিধি অনুযায়ী ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের কাপ, প্লেট, প্যাকেট ব্যবহার করা যায় না। কিন্তু ফলের ক্যারিব্যাগ দেখা গেল ৩০ মাইক্রনের। পরিবেশবিদ সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের কথায়, 'এটা ৩০ মাইক্রন। এখন ৫০ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা যায় না। কারণ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং করা যায় না। কেন্দ্রীয় সমীক্ষা বলছে, কত টন প্লাস্টিক এখন ব্যবহার হয়। এর থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে।'


অন্যদিকে বড় একটি দোকানের প্লাস্টিকের প্যাকেটে দেখা গেল লেখা আছে ৭৫ মাইক্রন। কিন্তু সত্যিই কি তাই? মেপে কিন্তু দেখা গেল, বেজায় গরমিল। আবারও সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের কথা অনুযায়ী, 'দেখা যাচ্ছে কোথাও ৭০ মাইক্রোন, কোথাও তা নেই।  নজরদারি প্রয়োজন। যারা তৈরি করছে, তাদের যেন ফাঁকিবাজি না থাকে।' মিষ্টির প্লাস্টিকের প্যাকেট দেখা গেল, মাত্র ১০ মাইক্রন। সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলছেন, 'শুধুমাত্র প্লাস্টিক নয়, মিষ্টির প্যাকেট, র‍্যাপার থেকে শুরু করে অনেক কিছু ব্যান করতে হবে।'


কলকাতার পুলিশ কমিশনার থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ দেব, পরিবেশ দিবসে প্লাস্টিক ব্যবহারে সচেতনতার বার্তা অনেকেরই মুখে। পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল বলছেন, 'কলকাতা পুরসভা প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমরাও ক্র্যাসার উদ্বোধন করলাম।'


আরও পড়ুন: Kolkata: পরিবেশ বাঁচাতে ইলেকট্রিকচালিত পরিবেশবান্ধব গাড়ির উদ্বোধন কলকাতা পুলিশের


তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা দেবের কথায়, 'যেভাবে ঝড়, গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে, আমাদের সতর্ক হতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ করে। ১ কিলোমিটার দূরে দূরে যদি ক্র্যাসার বসানো হয়, তাহলে সুবিধা হয়।'


কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ১ জুলাই থেকে ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের প্যাকেজ ব্যবহার করলে বিক্রেতার ৫০০ টাকা ও ক্রেতার ৫০ টাকা জরিমানা হবে।