কলকাতা: ২১ জুলাইয়ের (TMC Martyr Day) সমাবেশ উপলক্ষে কলকাতাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা। লালবাজার সূত্রের খবর, রাস্তায় থাকবে অতিরিক্ত ৫ হাজার পুলিশ। শুধুমাত্র শহরের রাস্তাই নয়, মেট্রোতে একইভাবে বিশেষ নজরদারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কলকাতাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা: পঞ্চায়েত ভোটে বিপুল জয়ের পরে আজ প্রথম সমাবেশ তৃণমূল কংগ্রেসের। ২৪-এর লোকসভার মহাযুদ্ধের আগে আজই শেষ ২১ জুলাই। সকাল থেকেই কলকাতামুখী জনস্রোত। জেলা থেকে বাসে-ট্রেনে- নৌকায় আসছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সকাল থেকেই ধর্মতলার সভামঞ্চের কাছে ভিড় জমছে। সূত্রের খবর, নিরাপত্তার জন্য ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার ৩১ জন, যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদার ৮ জন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার ৮০ জন অফিসার রাস্তায় থাকবেন। ২০টি বহুতলের ছাদ থেকে নজরদারি চালানো হবে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৪টি দল মোতায়েন রাখা হচ্ছে। প্রস্তুত থাকবে ৬টি ক্যুইক রেসপন্স টিম। এছাড়াও মেট্রোয় বিশেষ নজরদারি চালাবে পুুলিশ। সভাস্থলে ৪৫টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে চলবে নজরদারি। প্রস্তুত ১৮টি অ্যাম্বুল্যান্স। থাকবে ৪৮টি হেল্প ডেস্ক।
২১ জুলাই এর মূল মঞ্চটি তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মঞ্চের প্রথম ভাগের উচ্চতা ১০ ফুট। দৈর্ঘ্য ৫২ ফুট এবং প্রস্থ ২৮ ফুট।মঞ্চের প্রথম ভাগে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা-নেত্রী ও আমন্ত্রিতরা। মঞ্চের দ্বিতীয় ভাগের উচ্চতা ১১ ফুট। দৈর্ঘ্য ৪০ ফুট এবং প্রস্থ ২৮ ফুট। এই মঞ্চে স্বজনহারা পরিবারের সদস্য ও তৃণমূলের সাংসদরা বসবেন।২১ জুলাইয়ের মঞ্চের তৃতীয় ভাগের উচ্চতা ১২ ফুট। দৈর্ঘ্য ৪৮ ফুট এবং প্রস্থ ২৮ ফুট। এই মঞ্চে বিধায়ক-সহ অন্যদের বসার জায়গা। মূল মঞ্চের পাশেই তৈরি হয়েছে চতুর্থ মঞ্চ। সেটি তৃণমূল কাউন্সিলর এবং অন্যান্যদের বসার জায়গা হিসাবে নির্ধারিত। মঞ্চে ওঠার জন্য ৩টি সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। একটি সিঁড়ি ব্যবহার করবেন তৃণমূল নেত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি ২টি সিঁড়ি অন্যদের ব্যবহারের জন্য নির্মিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে বক্তব্য রাখবেন, সেই পোডিয়াম রয়েছে মূল মঞ্চের বাঁ দিক ঘেঁষে। উচ্চতা ১২ ফুট। দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট এবং প্রস্থ ৮ ফুট।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial