হিন্দোল দে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলির মৈপীঠে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে (TMC And BJP Clash At Kultali) জখম দু'দলের ৫ কর্মী-সমর্থক (5 Get Injured)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে বিজেপি। পাল্টা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তৃণমূলের। পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসার মুখে কি রক্তাক্ত হতে শুরু করেছে রাজ্য়ের নানা প্রান্ত?
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, জখমদের মধ্যে বিজেপির ৩ ও তৃণমূলের ২ জন কর্মী রয়েছেন। তবে কারও আঘাতই গুরুতর নয়। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা মৈপীঠ কুলতলি থানার অন্তর্গত শনিবারের বাজারে একটি সমাবেশ উপলক্ষ্য়ে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে গণ্ডগোলের আভাস ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই জন্য় আগে থেকেই পৌঁছে যান তাঁরা। সরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপির সমাবেশ। অভিযোগ, যখন তাঁরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। কিন্তু কেন? নেপথ্যের কারণ কী? খুঁজে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য হালে, সমবায় নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এগরায়। উদ্ধবপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়।
তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ...
গত বছর মার্চে হোলি খেলা ঘিরে অর্জুন সিংহের বাড়ির সামনে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ৪ জন আহত হন। জগদ্দলে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে সদলবলে হামলার অভিযোগ। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তার পর, গত নভেম্বরে, ডেঙ্গি নিয়ে বিজেপির পুরসভা অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাধে নৈহাটি পুরসভার সামনে। রক্তাক্ত হন মহিলা বিজেপি কর্মী। পুলিশের সামনেই ঝরল রক্ত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। দলের মহিলা কর্মীদের উপরেও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির। অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা দাবি, 'জবাব দিয়েছে সাধারণ মানুষ'। বিজেপির ডেঙ্গি বিরোধী অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র নৈহাটির পুরসভা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলে পদ্মশিবির। ক্রমবর্ধমান ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, অথচ পুরসভা কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এই অভিযোগে নৈহাটি পুরসভার দিকে অভিযান চালায় বিজেপি কর্মীরা। পুরসভার সামনে তাঁদের পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তিও বাধে।