বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না (Moina Of Purba Medinipur)। মারপিট, বোমাবাজি, বাড়ি ভাঙচুর, বাদ গেল না কিছুই। দুই দলের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


কী ঘটেছিল?
বোমাবাজি, ভাঙচুর। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুর ময়না। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার বাকচা পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামহলে বিজেপির কর্মসূচি ছিল। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূল। তখনই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই দল। রাত পেরিয়ে সংঘর্ষের আঁচ এসে পড়ে সকালেও। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূল, বিজেপি দুই দলের কর্মীদের বাড়িতে। ব্যাপক বোমাবাজি হয় দু-পক্ষের মধ্যে। বিজেপির সমর্থক লক্ষ্মী ভৌমিক বলেন, 'আমার ছেলে বিজেপি করে বলে রোষ। তৃণমূলে যেতে টাকা দিতে চেয়েছে। যায়নি।' অন্য দিকে বাকচার তৃণমূল অঞ্চল সহ-সভাপতি সুজিত করের দাবি, 'কাল বিজেপির লোকজন এসে মারধর করে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।' সংঘর্ষের পর এদিন গ্রামে গেছিল তৃণমূল ও বিজেপির জেলা নেতৃত্বের প্রতিনিধি দল। এদিকে বিজেপি তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, 'তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। পুলিশই নিষ্ক্রিয় ছিল।' মানতে চাননি যুব তৃণমূল কংগ্রেসের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আজগর আলি। পাল্টা আঙুল তুলেছেন বিজেপির দিকেই। সংঘর্ষের ঘটনায় বিজেপির ২জন কর্মী ও তৃণমূলের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পর, ২৪ সেপ্টেম্বর, পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন, তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই বাকচা গ্রাম। থামাতে গিয়ে মাথা ফেটেছিল নন্দকুমারের সার্কেল ইন্সপেক্টর তীর্থ ভট্টাচার্যের। ১ বছর পর, ২০১৯-এর ১৪ অক্টোবরে ওই এলাকাতেই খুন হন তৃণমূল নেতা বসুদেব মণ্ডল। আরও একটা পঞ্চায়েত ভোটের মুখে, ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সেই বাকচা।

বার বার অভিযোগ...
২০২০ সালের মে মাসের ঘটনা। পিংলায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় আহত ২ তৃণমূল কর্মী।  ঘটনাটি ঘটে পিংলা থানার ধনেশ্বরপুর অঞ্চলের সাঙ্গাড় এলাকায়।  তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ত্রিপল বিলি করে চলে যাওয়ার পর রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রড, লাঠি, অস্ত্র নিয়ে আচমকা তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা করে।  হামলায় আহত হন দুই তৃণমূল কর্মী।  একজনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তিনি এখনও হাসপাতালে ভর্তি। অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিত্‍সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।  পিংলা থানায় তৃণমূল অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। যদিও জেলা বিজেপির তরফে অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, ত্রিপল বিলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণেই ওই ঘটনা।


আরও পড়ুন:শুরুতে নেই শ্রেয়স, নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে দিল কেকেআর