খড়ার (পশ্চিম মেদিনীপুর): পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur)  খড়ার পুরসভায় (Kharar Municipality) চেয়ারম্যান নির্বাচন (Chair,an Election) ঘিরে চরম অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে হার দলের প্রস্তাবিত প্রার্থীর। অন্যদিকে,

  বিজেপির সমর্থনে (BJP Support)  খড়ার পুরসভায় চেয়ারম্যান নির্বাচনে জিতলেন তৃণমূলেরই কাউন্সিলর। অর্থাৎ, বিজেপির সমর্থনে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়ার পুরসভায় তৃণমূলের চেয়ারম্যান!


পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়ার পুরসভায় ভোটাভুটিতে তৃণমূলের  প্রস্তাবিত প্রার্থীর হেরে গেলেন। চেয়ারম্যান হিসেবে সন্ন্যাসী দোলুইয়ের নাম প্রস্তাব করে তৃণমূল। ভোটাভুটিতে ৪-৪ ভোট পান তৃণমূলেরই সন্ন্যাসী দোলুই, অদ্যুৎ মণ্ডল।বিজেপির ২ কাউন্সিলরের সমর্থনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন অদ্যুৎ।


গোটা ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারি, ‘অদ্যুৎ মণ্ডল তৃণমূল করলেও, দলের কথা শোনেননি। ওঁকে দলের বলে বলা যাবে না। হুঁশিয়ারি তৃণমূলের জেলা সভাপতির


অন্যদিকে, বিজেপির সমর্থনে চেয়ারম্যান হওয়া নিয়ে  তৃণমূল কাউন্সিলর অদ্যুৎ মণ্ডলের দাবি,  ‘সবাই বলছে দল বিরোধী কাজ করছি।  কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতি দলের বিরুদ্ধে যেতে বাধ্য হয়েছি।’


চেয়ারম্যান নির্বাচন ঘিরে এদিন সকাল থেকেই খড়ার পুরসভায় দেখা যায় টান টান নাটক। প্রথমে তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলর আসেননি। তাঁদের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্ব যোগাযোগ করে নিয়ে আসেন। পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে সন্ন্যাসী দলুইয়ের নাম প্রস্তাব করা হয়। পাল্টা চেয়ারম্যান পদের জন্য অদ্যুৎ মণ্ডলের নাম প্রস্তাব করা হয়। এবার খড়ার পুরসভায় ১০ আসনের মধ্যে ৮ টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিজেপি জয়ী হয়েছে ২ আসনে। ভোটাভুটি ৪-৪ ভোট পান তৃণমূলের সন্ন্য়াসী দোলুই ও অদ্যুৎ মণ্ডল। অদ্যুৎতে ২ বিজেপি কাউন্সিলর সমর্থন করায় তাঁর ভোট হয় ৬। ফলে তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 


এদিকে, কালনা পুরসভায় দলের ঘোষিত চেয়ারম্যানকে মানতে আপত্তি তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলরের। শপথ গ্রহণে যোগ না দিয়ে প্রতিবাদ জানালেন বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। তা নিয়ে ধুন্ধুমার। কালনা পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন আনন্দ দত্ত। দলেরই ১২ জন কাউন্সিলর তাতে আপত্তি জানিয়েছেন। উপ পুরপ্রধান তপন পোড়েলকে চেয়ারম্যান পদে চেয়ে এদিন প্রতিবাদ জানান বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলররা। অন্যদিকে, আনন্দ দত্তর সমর্থনে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। টাউন হলের বারান্দা থেকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে চিত্কার করে পুলিশকে বিক্ষোভ হঠানোর নির্দেশ দিতে দেখা যায়। মন্ত্রী জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্তই মানতে হবে। কয়েকজন কাউন্সিলর পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন।