আশাবুল হোসেন, কলকাতা : তৃণমূলের (TMC) সংসদীয় দলের বৈঠকে কড়া বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। কাজের প্রবল চাপের মাঝেও এবার থেকে সংগঠনের কাজ ফের তিনিই দেখবেন বলে পরিষ্কার করে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রয়োজনে আগের মতোই 'রুটিন, ডিউটি চার্ট করে পার্টি চলবে' বলেও বার্তা দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি কারোর কোনও বক্তব্য থাকলে সেটা কারোর মাধ্যমে বা অন্য কোনও জায়গায় নয় সরাসরি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে তাঁর মাঝে পৌঁছনোর বার্তা-ই দিয়ে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


এদিন সংসদীয় দলের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকের মনে অনেক ব্যথা থাকে, তাঁরা বলতে পারেন না। কোথায় যোগাযোগ করবে, ভেবে উঠতে পারেন না। এবার থেকে আমি সুদীপদাকে বলব, সাংসদরা কিছু বললে, সরাসরি আমাকে জানান। সাংসদরা কিছু বললে কারও মাধ্যমে নয়, আমাকে সরাসরি জানান।’ গত কয়েকদিনে তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে মত-বক্তব্যের ফারাক সর্বসমক্ষে এসে পড়েছে। যা নিয়ে বার্তা দিতে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'বিধায়ক, সভাপতি, সাংগঠনিক পদে যারা আছেন, তাদের অনেক সময় ব্যথা-বেদনা থাকে। নেতাদেরও অনেক ব্যথা-বেদনা থাকে, জানাতে পারেন না। অভিযোগ শুনতে সাংগঠনিক নির্বাচনের পরে একটা কমিটি করে দেব।'


দলের সদস্যদের মনের 'ব্যথা-বেদনা' তাঁকে সরাসরি জানাতে বলার পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমোর কড়া বার্তা, 'আমি চাই পার্টি অফিস থেকেই পার্টি চলবে, অন্য কোথাও থেকে নয়। রুটিন, ডিউটি চার্ট করে পার্টি চলবে, যেমন করে আগে চালাতাম।' কিছুদিন আগে ডায়মন্ড-মডেল নিয়ে তৃণমূলের সংঘাত ও তারপর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জনসমক্ষে অপর সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের মুখ খোলা নিয়ে তাঁকে সতর্কও করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জনসমক্ষে মুখ্য সচেতকের পদ থেকে শ্রীরামপুরের সাংসদের সরে দাঁড়ানো উচিত বলেই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমোর বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পেয়ে অপরূপা পোদ্দার বৈঠকের মাঝেই ক্ষমা চেয়ে নেন বলেই খবর।


আরও পড়ুন- "গণতন্ত্রের স্তম্ভ সমস্ত দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন,'' প্রজাতন্ত্র দিবসে শুভেচ্ছাবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর