কলকাতা: ১০০ দিনের বকেয়া নিয়ে দিল্লি অভিযানের আগে চিঠি সংগ্রহে নামল তৃণমূল (TMC)। কাজ করা সত্ত্বেও যাঁরা টাকা পাননি, তাঁদের লেখা চিঠি জড়ো করছে শাসকদল। আগামী ২ অক্টোবর দিল্লি অভিযানে নিয়ে যাওয়া হবে সেই চিঠির রাশি (Kolkata News)। ওই চিঠিগুলি পাঠানো হবে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরে। (MGNREGA Dues)
মঙ্গলবার এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ পোস্ট করেছে তৃণমূল। তাতে বলা হয়, 'অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব বাংলার মানুষ। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার ১৫ হাজার কোটি টাকা নির্দয় ভাবে আটকে রেখেছে বিজেপি। যাঁরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন, নিজেদের অধিকার চেয়েছেন'। দলের ওই পোস্ট নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শেয়ার করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি লেখেন, 'কেন্দ্রীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজোট পশ্চিমবঙ্গ। নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রে মানুষই সবার উপরে'।
১০০ দিনের টাকা থেকে আবাস এবং সড়ক যোজনা, একাধিক প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে তৃণমূল। বাংলারপ বিজেপি নেতারাই চিঠি দিয়ে দিল্লিকে টাকা দিতে বারণ করেছে বলে অভিযোগ। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে বলে অভিযোগ জোড়াফুল শিবিরের। তাদের দাবি, ভোটের ময়দানে পেরে না উঠে, উন্নয়নের কাজ আটকে দিতেই এই কৌশল। যদিও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দুর্নীতি রুখতেই চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই বঞ্চিতদের থেকে চিঠি সংগ্রহের কাজের গতি বাড়াল তৃণমূল। কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, তাঁদের চিঠি দিল্লি পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হল তারা।
১০০ দিনের কাজের টাকা বকেয়া নিয়ে দিল্লির বুকে আন্দোলনের ঘোষণা আগেই করেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। তার আওতায় বকেয়া টাকার দাবিতে আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর রাজধানীর বুকে ধর্না কর্মসূচির পরিকল্পনা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'করোনার থেকেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ', স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ নিয়ে দিল্লির রামলীলা ময়দানে অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের। তার জন্য দফায় দফায় চিঠি লিখে দিল্লি পুরিশের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনুমতি মেলেনি। তাতেই তৃণমূলের তরফে বিকল্প কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজধানীর রাজপথে সরব হবে তৃণমূল। দিল্লির রামলীলা ময়দানে অবস্থান-বিক্ষোভের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু দিল্লি পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। এর পরই তৃণমূলের তরফে বিকল্প কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গাঁধী জয়ন্তীতে মহাত্মা গাঁধীর স্মৃতিসৌধ রাজঘাটে প্রথমে প্রার্থনা তার পর ধর্না কর্মসূচি করতে চলেছে তৃণমূল। শুরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বলে শোনা দিয়েছিল। কিন্তু ফের পায়ে আঘাত পাওয়ায়, ধর্না কর্মসূচিতে তাঁর উপস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।