রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: দলবদল করা ১২ কাউন্সিলরের মধ্যে তৃণমূলের টিকিট পাননি সিংহভাগই। আর এই নিয়ে নবাবের শহর মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের ক্ষোভ চরম আকার নিল। জেলা সভানেত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান। দুর্নীতির অভিযোগে পাল্টা জবাব দিয়েছেন জেলা সভানেত্রী।


মুর্শিদাবাদ পুরসভার তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, "২০১১ সাল থেকে জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের সঙ্গে আমার একটা বিরোধ আছে, এই বিরোধটাকে হয়তো এভাবে কার্যকর করছেন। তাই উনি সভাপতি হওয়ার পর আমার প্রশাসকের পদ গিয়েছে।" বিপ্লব চক্রবর্তী। তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদ পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের চেয়ারম্যান। এবার তাঁর নাম নেই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায়। আর এই নিয়ে নবাবের জেলায় প্রকাশ্যে চলে এল শাসক কোন্দল।         


২০১৬ সালে বিপ্লব চক্রবর্তীর হাত ধরে, কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ১২ জন কাউন্সিলর। এবার প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি দলবদলকারী ৮ জনের।  এর নেপথ্যে জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর হাত দেখছেন মুর্শিদাবাদ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। এদিকে  তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় বলেন, "ও যে ধরনের দুর্নীতি করেছে তার জন্য আগে ওই পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তাকে আবার কাউন্সিলর করার সুযোগ নিশ্চয়ই দেবে না।" 


আরও পড়ুন, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ, দফায় দফায় বিটি রোড অবরোধ


প্রার্থী পদ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরের ক্ষোভ সামনে চলে আসতেই খোঁচা দিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপির মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার বিধায়ক ও সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, "ওদের প্রার্থী নিয়ে এত ঝামেলার কারণ গরীব মানুষের উন্নয়নের টাকা আত্মসাৎ করতে হবে। বিগত দিনে আমরা টাকা মেরে খেয়েছি এবারও মেরে খেতে হবে, এই মানসিকতা থেকে ঝামেলা।" 


সব মিলিয়ে প্রার্থী তালিকা ঘিরে, পুরভোটের মুখে শাসক দলের অন্দরে অসন্তোষ ক্রমশ বাড়ছে মুর্শিদাবাদে।