নয়াদিল্লি: গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী 'ভারতরত্ন' লতা মঙ্গেশকর (Bharat Ranta Lata Mangeshkar)। তিনি সুরের মূর্ছনায় মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন আপামর ভারতবাসীর। তবে তাঁর খ্যাতি তো শুধু এদেশেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গেও তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। একাধিক বলিউড তারকার সঙ্গে তিনিও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ফলে বাংলাদেশেও তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়।


রবিবার, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh Prime Minister Sheikh Hasina) ভারতের 'নাইটিঙ্গেল'-এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন। লতা মঙ্গেশকর একবার ১৯৭২ সালে শেখ হাসিনার বাবা 'বঙ্গবন্ধু' শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছিলেন।


১৯৭২ সালে ঢাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ('Bangabandhu' Sheikh Mujibur Rahman) সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের একটি ঐতিহাসিক ছবি রাষ্ট্রীয় বেতার সম্প্রচারকারী AIR শেয়ার করেছিল।


একটি ভারতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলের অন্যতম ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। এই দলটি ১৯৭২ সালে ঢাকায় 'বঙ্গবন্ধু' এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। অভিনেত্রী ওয়াহিদা রেহমান, তরুণ সঞ্জয় দত্ত এবং তাঁর বাবা এবং অভিনেতা সুনীল দত্তও প্রতিনিধিদলের অংশ ছিলেন।


১৯৭২ সালে তাঁর বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা মনে করে লতা মঙ্গেশকর ২০১৯ সালে একবার ট্যুইট করে লেখেন, 'নমস্কার। ১৯৭১-এর বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই, আমরা সেখানে যাই এবং সুনীল দত্তের দলের সঙ্গে বেশ কিছু অনুষ্ঠান করি। সেই সময়ে, সেনা বিমানে করে আমরা সব জায়গায় যেতাম।'


আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Demise: ইন্দৌরের মিউজিয়ামে সংরক্ষিত লতা মঙ্গেশকরের গানের ৭ হাজার ৬০০ বিরল গ্রামোফোন রেকর্ড


লতা মঙ্গেশকর এক বাংলাদেশি ছবির জন্য গানও গেয়েছিলেন। বলা হয়, সেটিই তাঁর একমাত্র গাওয়া বাংলাদেশি ছবির গান। ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পায় 'রক্তাক্ত বাংলা' ছবির গান 'ও দাদাভাই', সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন সলিল চৌধুরী। ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন মুমতাজ আলি। অভিনয়ে ছিলেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কবরী ও গোলাম মুস্তফা।