মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা: পঞ্চায়েত কার্যালয় সংস্কারের নামে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া টাকা (Central Government fund) নয়ছয়ের অভিযোগ উঠল। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পরিচালিত কাঁকসা (Kanksa) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি (BJP) সদস্যরা।যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি পঞ্চায়েত প্রধানের। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে দু-দলের রাজনৈতিক তরজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করে কাঁকসা ব্লকের কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের সংস্কার হয়। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির সদস্যদের অভিযোগ, তাঁদের অন্ধকারে রেখে ওই কাজ করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয় সংস্কারের নামে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় হল। কিন্তু, বাস্তবে এত টাকা খরচ হয়নি। নির্মাণ সহায়ক বা প্রধান কিংবা উপপ্রধান কেউ হিসাবও দিচ্ছেন না।
এই বিষয়ে অভিযোগকারী বিজেপি সদস্য আনন্দ কুমার বলেন,"সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে শৌচালয়ের দরজা,দুটি এয়ার কন্ডিশনার মেশিন, টাইলস আর একটা দরজা লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে শৌচালয়ের দরজা ভেঙে পড়েছে। আর এসি একদিনও চলেনি। সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে ২ লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। বাকি দেড় লক্ষ টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, নির্মাণ সহায়ক সহ পাঁচ জন মিলে ভাগ করে নিয়েছেন। আমরা হিসাব চাইলেই চুপ করে রয়েছেন। এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অনেক টাকা দিচ্ছেন। সেই টাকাও ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগই কাঁকসার বিডিওর কাছে জানানো হল। কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধী সদস্যরা রয়েছে বলেই প্রতিবাদ হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আন্দোলনের পথে হাঁটব।"
পুরো অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমনা সাহা বলেন, "কোনওরকম দুর্নীতি হয়নি। বিরোধীদের বিরোধিতা করাই কাজ।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Burdwan News: হকার উচ্ছেদেও আমরা-ওরা? বর্ধমানে ভাঙা হল না INTTUC-র ইউনিয়ন অফিস