চেন্নাই: বয়স হয়ে গিয়েছে ৪৩ বছর। আগামী মরশুমে আইপিএলে কি আদৌ খেলবেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি? গত কয়েক বছরে প্রত্যেকবারই একই প্রশ্ন ঘুরেফিরে এসেছে। কিন্তু প্রত্যেক বার চমক দেখিয়ে আইপিএলের মঞ্চে খেলতে নামেন এমএসডি। আগামী মরশুমের আগে ফের একবার সেই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গেল। সম্প্রতি এক ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন পাঁচবারের আইপিএল জয়ী চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাক্তন অধিনায়ক। সেখানেই ধোনি নিজের আইপিএলে ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন। 


এই বছর নিলাম রয়েছে। অনেক তারকা প্লেয়ারই এবার নিলামে উঠবেন। কোন দল কত প্লেয়র রিটেনশন করতে চায় তা নিয়েও তর্ক সাপেক্ষে আলোচনা চলছে। এই পরিস্থিতিতে ধোনি বলেন, ''এখনও অনেক সময় রয়েছে। লক্ষ্য রাখতে হবে প্লেয়ার রিটেনশন নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার ওপরই আমি নিজের আইপিএল ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবব। বল এখন আমাদের কোর্টে নেই।'' এরপর আরও বলেন, ''একবার পুরো নিয়ম কানুন তৈরি হয়ে যাক। এরপরই আমি কোনও একটা সিদ্ধান্ত নেব। তবে দলের স্বার্থে যা ভাল হবে, সেটাই হবে।''


গত আইপিএলে শুধুমাত্র ১১ ইনিংস খেলেছিলেন ধোনি। ১৬১ রান করেছিলেন। ৫৩.৬৬ গড়ে ব্যাটিং করেছিলেন তিনি। ১৪টি বাউন্ডারি ও ১৩টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তবে হাঁটুর চোটে বেশ ভুগেছিলেন ধোনি। বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। যা ভালমতই বোঝাও যাচ্ছিল। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৭। গত আইপিএলে প্লে অফে জায়গা করে নিতে পারেনি চেন্নাই সুপার কিংস। পয়েন্ট টেবিলে পাঁচ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। মোট ১৪ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছিল সিএসকে। সাত ম্যাচ জয় ও সাত ম্য়াচে হেরে গিয়েছিল হলুদ জার্সিধারীরা। 


সেই অনুষ্ঠানে একজন ক্রিকেটপ্রেমী সেই সেমিফাইনাল ম্যাচ নিয়ে ধোনিকে জিজ্ঞেস করলে কিংবদন্তি ক্রিকেটার বলেন, 'খুব কঠিন অভিজ্ঞতা ছিল কারণ আমি জানতাম এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। জিতে শেষ করতে পারলে ভাল হতো। সকলের মন ভেঙে গিয়েছিল। তবে আমরা হার মেনে নিয়েছিলাম ও এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।' উল্লেখ্য, ২০১৯ ওয়ান ডে বিশ্বকাপের পর আর ধোনিকে দেখা যায়নি দেশের জার্সিতে ম্য়াচ খেলতে। ২০২০ সালে কোভিডের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সূচিতেও ব্যাঘাত ঘটে। আচমকাই সে বছর ১৫ আগস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপ্টেন কুল।