অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) মোহনপুরে (Mohanpur) তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের দ্বন্দ্বে (TMC Infighting) শনিবার দলের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ হয়েছিল। রবিবার সকালে বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে উদ্ধার হয় তাজা বোমা যা নিয়েও ফের তৃণমূলে বিরোধ! কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। 


কী ঘটেছিল?  
শনিবার তৃণমূলের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত ঙয়ে উঠেছিল মোহনপুর। রবিবার উদ্ধার হয় তাজা বোমা। নির্দিষ্ট করে বললে শনিবার যেখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটেছিল, তার থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। আর সেই বোমা উদ্ধার ঘিরে ফের তৃণমূলের অন্দরেই দ্বন্দ্ব! শনিবার, মোহনপুরে, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ব্লক তৃণমূল সভাপতির অনুগামীদের বিরুদ্ধে। জখম সেই তৃণমূলকর্মীকে রাস্তায় শুইয়ে বিক্ষোভ দেখান অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা। টায়ার জ্বালিয়ে আঁতলায় খাকুড়দা-মোহনপুর রাজ্য সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখেন তৃণমূল কর্মীরা। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই, রবিবার সকালে, বিক্ষোভস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে উদ্ধার হল তাজা বোমা। শিয়ালসাই ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের আঁতলা ও বাড় শাহপুর পাশাপাশি দুটি গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে মাটিতে পোঁতা প্লাস্টিকের জারিকেনে বোমার সন্ধান পাওয়া যায়। এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় মোহনপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দিকেই কার্যত আঙুল তুলেছেন তৃণমূল বিধায়ক।সম্প্রতি তৃণমূলের ব্লক সভাপতির হাত ধরে বিরোধী দল থেকে বেশ কয়েকজন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অশান্তির নেপথ্য়ে নবাগতদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধান। বলেছেন, 'বিজেপি এবং সিপিএমের কিছু হার্মাদ, যারা বিগত দিনে যারা অশান্তি করেছিল, তারাই পিছন দরজা দিয়ে তৃণমূলে ঢুকে পড়েছে। নেতৃত্বের হাত ধরে ঢোকার চেষ্টা করেছে। আমাদের দলের কতিপয় মানুষ তাদের দলে এন্ট্রি দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এর ফলে কয়েক দিন ধরে অশান্তি। এবং তারাই আমাদের পুরনো কর্মীদের সঙ্গে মারামারি করছে গত পরশুদিন থেকে। এবং দেখা যাচ্ছে যে ডাব্বার ডাব্বা বোম বন্দুক বারুদ এলাকাতে জমায়েত করেছে।' ব্লক সভাপতি মানিক মাইতি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, 'বোমা-বন্দুকের রাজনীতি তৃণমূলের নয়।' আরও বলেন, 'বিধায়ককে সম্মান করি। তবে তৃণমূল কংগ্রেস বোম-বন্দুকের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। বোমা বন্দুকে বারুদ উদ্ধার হলে পুলিশ, পুলিশ প্রশাসনের মত কাজ করবে। পুলিশ যারা জড়িত রয়েছে তাদের খুঁজে বের করুক। একটা পারিবারিক বিবাদকে রাজনীতির রং দেওয়া হচ্ছে।'

কটাক্ষ বিজেপির...
বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য শিশির নন্দী বলেন, 'আঁতলায় যে সন্ত্রাস চলছে ওটা ওদের নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। এখানে আমাদের কোনও যোগ নেই কিন্তু প্রশাসন নীরব। প্রশাসন নগ্ন ভাবে তৃণমূলের সঙ্গে থেকে বোমা মজুদকে সাহায্য করছে।' সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে তৃণমূলের অন্দরে বিরোধ প্রকাশ্য়ে। এই অন্তর্দন্দ্ব বিরোধীদের বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেবে না তো? উত্তর দেবে সময়। 


আরও পড়ুন:হেঁটে-দৌড়ে ঝরাতে চান অতিরিক্ত মেদ? তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই নিয়মগুলো